চেয়ারম্যান পদে রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা হাইকোর্টে বহাল

জামালেুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিকের প্রার্থিতা বাতিল করে ইসি। প্রার্থীতা বহালের জন্য হাইকোর্টের আপিল করেন তিনি। শুনানি শেষ বিভাগের একটি ব্রেঞ্চ তার প্রার্থিতা বহাল রাখেন।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে বিচারপতি মো: ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো: আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন দ্বৈতবেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রচারণা জনসভায় প্রার্থীর দুই সমর্থক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পলিং এজেন্ট না দেয়া, তাদেট হাত-পা ভেঙে যমুনায় ফেলে দেয়াসহ উস্কানিমূলক ও হুমকির বক্তব্য দেয়। বক্তব্যটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি নয়া দিগন্তসহ বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশ হয়।

রোববার (৫ মে) নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গে করার অভিযোগে সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

কমিশনের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে রফিকুল ইসলাম হাইকোর্টের আপিল বিভাগে (৫৩০৩/২০২৪) রিট পিটিশন দায়ের করেন। ওই আপিল রিট পিটিশন মঞ্জুর করে মহামান্য হাইকোর্টে কমিশনের আদেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।

রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহরিয়ার কবির জানান, নির্বাচন কমিশনের আদেশকে আমরা চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশন দায়ের করলে আদালত মঞ্জুর করেন এবং নির্বাচন কমিশনের দেয়া আদেশটি স্থগিত করেছেন।

এ দিকে আনারস প্রতীকের নির্বাচনী চিফ এজেন্ট আইনজীবী শহিদুল ইসলাম জানান, গত ২ তারিখে নির্বাচন কমিশনে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য প্রার্থীসহ আমি উপস্থিত ছিলাম। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সামনে আমি কিছু যুক্তি তুলে ধরি। কিন্তু কোনো তদন্ত ছাড়াই অন্যায়ভাবে নির্বাচন কমিশন রফিকের প্রার্থীতা বাতিল করে। (২ মে) তারিখে শুনানি করে (৫ মে) আদেশ দেন। আমরা সেই আদেশে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করলে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করেন। এতে ৮ মে নির্বাচনে রফিকুল ইসলাম রফিকের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আর কোনো বাধা নেই।

জেলা রিটারনিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রফিকুল ইসলামের প্রার্থীতা বাতিল করে কমিশন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে হাইকোর্ট প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়ে রায় দিয়েছেন।