২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

লোডশেডিং ও অসহনিয় গরমে অতিষ্ট নালিতাবাড়ী

লোডশেডিং ও অসহনিয় গরমে অতিষ্ট নালিতাবাড়ী বাসী - ছবি : নয়া দিগন্ত

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং ও দাবদাহের অসনিয় গরমে অতিষ্ঠ উপজেলাবাসী।

একদিকে বৈশাখের প্রচণ্ড দাপদাহ অন্যদিকে বিদ্যুতের ঘণ্টারপর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে মানুষের জিবনকে করে তুলেছে দুর্বিসহ।

নালিতাবাড়ীতে ঘণ্টারপর ঘণ্টা বিদ্যুতের লোডশেডিং হওয়ায় জনজীব বিপর্যন্ত হয়ে পড়ছে। বিদ্যুতের আসা-যাওয় যেন অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। দাবদাহে এমনতেই নাকাল সাধারন মানুষ তার ওপর বিদ্যুতের ভেলকিভাজ জনজিবনে নাবিশ্বাস হয়ে উঠছে। এদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পল্টিশিল্পের, ধানের চাতালের। বিদ্যুত বিভ্রাটে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অটো রাইচ মিলের। অটোরাইচ মিলমালিকরা লোকসানের আশঙ্কা করছে। শ্রমিকরা অলস সময় পার করছে, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

বিদ্যতের লোডশেডিংয়ের কারণে বোর আবাদে পানি দিতে পারছেন কৃষকরা। আবাদের শেষ মুহূর্তে পানি না দিতে পারলে ধানের চিটা হতে পারে বলে কৃষকরা জানিয়েছে।

নালিতাবাড়ী পল্লি বিদ্যুত ও বিদ্যুত উন্নয়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুতের সঠিক ব্যাবহারে জন্য পল্লি বিদ্যুতকে ১১টি ফিডার বা অঞ্চল পিডিবিকে পাঁচটি ফিডারে ভাগ করা হয়। নালিতাবাড়ীতে পল্লি বিদ্যুতের প্রায় ৫৫ হাজার গ্রাহকের চাহিদা রয়েছে ১৭-১৮ মেগাওয়াট। বর্তমানে সরবরাহ আছে ছয়-সাত মেগাওয়াট বিদ্যুত। অন্যদিকে পিডিপির প্রায় ১৫ হাজার গ্রাহকের সাড়ে সাত মেগাওয়াট চাহিদার বিপরিতে সরবরাহ রয়েছে তিন মেগাওয়াট।

খড়খড়িয়াকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাইনুল ইসলাম লিটন বলেন, এই গরমে লোডশেডিংয়ের কারণে প্রাথমিক বিদ্যায়ের শিক্ষার্থীদের চরম ক্ষতি হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা পড়ায় মনোযোগী হতে পারছে না।

শেরপুর পল্লি বিদ্যুত সমিতির নালিতাবাড়ী শাখার এ জি এম হাবিবুর রহমান জানান, ময়মনসিং অঞ্চলের হাই ভোল্টেজের লাইনের ঘাটতি থাকায় লোডশেডিং বেড়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুত পেলে লোডশেডিং কমে যাবে।

নালিতাবাড়ী বিদ্যুত উন্নয়ন অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী সুশান্ত পাল বলেন, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল