২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ধানুয়া-কামালপুর স্থলবন্দরে শুল্ক জটিলতায় ৫ দিন পণ্য খালাস বন্ধ

ধানুয়া-কামালপুর স্থলবন্দরে শুল্ক জটিলতায় ৫ দিন পণ্য খালাস বন্ধ - ছবি : নয়া দিগন্ত

জামালপুরের বকশীগঞ্জের ধানুয়া-কামালপুর স্থলবন্দরে আনলোড হলেও শুল্ক জটিলতার কারণে পাঁচদিন ধরে আটকে আছে ভারতীয় পণ্যবাহী নয়টি পাথরের ট্রাক। এই সমস্যার সমাধান কবে হবে তা নিয়েও শুরু হয়েছে নানা ধোঁয়াশা।

এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীরা। দ্রুত বিষয়টি সমাধান করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আমদানি-রফতানি কারকসহ পাথর ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, ৩১ মার্চ ভারতীয় নয়টি ট্রাক আমদানি করা পাথর নিয়ে ধানুয়া-কামালপুর স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। নিয়মানুযায়ী স্থল বন্দরের ওয়েব্রিজে নয়টি ট্রাকের পাথর পরিমাপ করা হয়।

সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি-রফতানিকারকরা জানান, ভারত থেকে প্রতিটি ট্রাকে সর্বোচ্চ ১৮ মেট্রিক টন পাথর আনা হয়েছে। এই ট্রাকগুলো যথা নিয়মে বন্দরের ওয়েব্রিজে পরিমাপ করা হয়। কিন্তু বন্দরের শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা পাথরগুলো খালাস করতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাদের। কর্মকর্তাদের দাবি প্রতিটি ট্রাকে ২৫ মেট্রিক টনের বিপরীতে শুল্ক দিতে হবে কিন্তু আমদানি-রফতানিকারকদের দাবি প্রতি ট্রাকে পাথর আনা হয়েছে ১৮ মেট্রিক টন। সেখানে কর্মকর্তারা ২৫ মেট্রিক টনের শুল্ক চাচ্ছেন। শুল্ক কর্মকর্তা ও আমদানি-রফতানিকারকদের মধ্যে শুল্ক জটিলতার কারণে ৫ দিনেও খালাস হয়নি ভারতীয় নয়টি ট্রাকের পাথর। এজন্য পাথর ব্যবসায়ীরা কামালপুর এলসি স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের হঠকারীতাকে দায়ী করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক নয়া দিগন্তে ‘কামালপুর স্থল বন্দর দিয়ে পাঁচ মাস ধরে আমদানি বন্ধ, কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।


আরো সংবাদ



premium cement