২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জামালপুরে গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদ-নদী বিধৌত জামালপুরের পলি মাটি এক সময় গম চাষের উর্বর ভূমি হিসেবে পরিচিত ছিল। কোন এক দূর অতীতে জামালপুরের মাঠের দিকে তাকালে দেখা যেতো দিগন্ত জোড়া গম ক্ষেত। ওই সময় গমই ছিল এ অঞ্চলের প্রধান খাদ্যশস্য। পতিত, বালু ও পলি মাটিসহ সকল জমিতে কম খরচে লাভজনক ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষের আর্বিভাব ঘটায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে মূল্যবান ফসল গম চাষ।

জামালপুর সদর উপজেলার মধ্যের চর এলাকার কৃষক আনছার আলী বলেন, ‘গমের দাম বেশি হলেও ভুট্টার ফলন বেশি। তাছাড়া ভুট্টা চাষের তুলনামূলক খরচ ও অনেক কম। তাই গমের পরিবর্তে ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা। এছাড়া গম চাষে রোগ-বালাইও বেশি। তাই গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার সাত উপজেলা গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমি। কিন্তু চাষ হয়েছে ২ হাজার ৪৪৫ হেক্টর। কিন্তু এ বছরও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ২১৫ হেক্টর কম জমিতে গম চাষ হয়েছে।

সূত্র জানায়, চলতি রবি মৌসুমে জেলায় ১০ হাজার কৃষককে এক বিঘা করে জমি গম চাষের জন্য ২০ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপিসহ মোট ৪০ কেজি করে প্রনোদনা দেয়া হয়।

ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালের চর ইউনিয়নের কৃষক মুনু মিয়া অভিযোগ করেন, ‘যাদের গমের বীজ ও সার দেয়া হয়েছে তারা গম চাষ করেছে কি না সেটাই তদন্ত করে দেখা উচিৎ।’

ইসলামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার এ.এল.এম রেজুয়ান জানান, ‘গম চাষে ৮৫০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ৮৪০ হেক্টর চাষ হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে এর কোনো বাস্তবতা লক্ষ্য করা যায়নি।’

জামালপুর জেলা কৃষিসম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা জানান, ‘বর্তমানে আমাদের দেশ শীতকাল স্বল্পকালীন হওয়ায় গমের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা, ইদুঁরের উপদ্রব, সর্বোপরি স্বল্প খরচ, স্বল্প শ্রমিক ও স্বল্প সেচে ভুট্টা চাষ লাভজনক হয়ে উঠায় গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা।’


আরো সংবাদ



premium cement