ঈশ্বরগঞ্জে ইটভাটা থেকে শিকলে বাঁধা শ্রমিক উদ্ধার, মালিকসহ আটক ২
- ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা
- ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৩
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ইটভাটা থেকে সবুজ আলী (৩৬) নামে এক শ্রমিককে শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ইটভাটাটির মালিকসহ দুইজনকে আটকের পর শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
সবুজ আলী সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার সাম্ভান গ্রামের আবজাল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ জানা যায়, উপজেলার তরফ পাছাইল গ্রামে অবস্থিত এজিবি ব্রিকস নামে ইটভাটায় গত প্রায় দুই মাস ধরে কাজ করছিলেন সবুজ আলী। কাজ রেখে পালিয়ে চলে যাবে এই সন্দেহে ওই শ্রমিককে পায়ে শিকল বেঁধে কাজ করাতেন ভাটার মালিক খাইরুল আলম রাসেল (৪২)। দিনে কাজ করানোর পর রাতে মালিকের কক্ষে একটি খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে চালানো হতো নির্যাতন।
এমন ঘটনা জানতে পেরে সবুজের বাবা আবজাল হোসেন থানায় অভিযোগ দিলে শনিবার ভোরে শিকলে বাঁধা সবুজকে উদ্ধার এবং ভাটার মালিক রাসেল ও ম্যানেজার আসাদ মিয়াকে (৭০) গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযোগে জানা যায়, প্রায় দুই মাস আগে নাটোরের হালশা এলাকার আনসার আলী নামে এক ইটভাটার সর্দার এজিবি ব্রিকসের মালিকের কাছ থেকে অগ্রিম ৩ লাখ টাকা নিয়ে সবুজ আলীসহ মোট ১৮ জন শ্রমিককে কাজের জন্য দেন। পরে তিনি লাপাত্তা হয়ে গেলে অন্য শ্রমিকরা বুঝতে পেরে তারাও চলে যান। কিন্তু থেকে যান সবুজ আলী। এ অবস্থায় পারিশ্রমিক না পেয়ে তিনিও চলে যেতে চাইলে ব্রিকসের মালিক ও ম্যানেজার ঘটনা বুঝতে পেরে পালিয়ে যাওয়ার সন্দেহে তাকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পায়ে শিকল বেঁধে আটকে রেখেই কাজ করাতেন। সেইসাথে চলত নির্যাতন।
এ অবস্থায় সবুজ আলী কৌশলে অন্য একটি মোবাইল ফোনে ঘটনাটি তার বাবা আবজাল হোসেনকে জানান। পরে শুক্রবার রাতে আবজাল হোসেন এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ইটভাটায় গিয়ে শ্রমিক সবুজ আলীকে ইটভাটার মালিকের কক্ষ থেকে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এ সময় ভাটায় অবস্থান করা ভাটার মালিক ও ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত ফরিদ আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে নিয়মিত মামলা হয়েছে। দুজনকে গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা