২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

রঙ্গিন ফুলকপি চাষে লাভবান কৃষক

- ছবি - ইন্টারনেট

শীতকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাহাড়ি অঞ্চলে অনেক ধরনের শাকসবজির দেখা মেলে। মুলা, গাজর, শিম, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির চাষ হয় এ উপজেলায়। এবার দেখা মিলল একটু ব্যতিক্রমধর্মী রঙিন ফুলকপির। কোনোটির রঙ হলুদ আবার কোনোটির রঙ বেগুনি। কোনো রকম কীটনাশক ছাড়াই চাষ হচ্ছে এসব রঙিন ফুলকপি।

কৃষক ৩৩ শতাংশ জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবের ইউনিয়নের শিমূলতলা এলাকায়। প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষে সফলতা পাওয়ায় আগামীতে আরো বড় পরিসরে এ রঙিন ফুলকপি চাষ করবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। কৃষক সিরাজের রঙিন ফুলকপির সৌন্দর্য উপভোগ করতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অনেকেই আসেন তার জমিতে।

সিরাজ জানান, সাধারণ হল্যান্ড জাতীয় সাদা ফুলকপি চাষ করে অর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাই প্রথমদিকে আমি সাধারণ বাঁধাকপি ও ফুলকপিই চাষ করতে চেয়েছিলাম। পরে মনে হলো একটু চাষ করেই দেখি রঙিন কপি কেমন হয়। পরে ৩৩ শতাংশ জমিতে চাষ করি। যেখানে হলুদ রঙের ফুলকপি ১২ শ’ পিস, এর সাথে অল্প বাঁধাকপিও রোপন করি।

কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই এগুলো চাষ করেছেন বলে জানান তিনি।

প্রতিটি রঙিন ফুলকপির ওজন এক থেকে দুই কেজি পর্যন্ত হয়েছে। বাজারে পাইকারি ৬০-৭০ টাকা পিস হিসেবে ফুলকপি বিক্রি করছি। আমার ৩৩ শতাংশ জমির সবগুলো কপি বিক্রি করতে পারলে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে বলে আমি আশাবাদী।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়াদুদ বলেন, আকর্ষণীয় সবজিগুলোর মধ্যে রঙিন কপি নিঃসন্দেহে একটি আকর্ষণীয় সবজি। রঙিন কপি চাষে বর্তমানে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। সেইসাথে মানবদেহের জন্য সাদা রঙের ফুলকপির চেয়ে এ রঙিন ফুলকপি অনেক পুষ্টিকর। অন্যদিকে কৃষক সিরাজের রঙিন ফুলকপি চাষের প্রচার প্রচারণার ফলে ভোক্তা ও বিক্রেতাদের মাঝে ক্রয়-বিক্রয়ে আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। কীটনাশক ছাড়াই চাষাবাদ করা যাচ্ছে এ রঙিন কপি। এতে কৃষকেরা লাভবান হবেন। আশা করি আগামীতে এই সবজি চাষের পরিমাণও বাড়বে।


আরো সংবাদ



premium cement