জামালপুরে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত, শিক্ষকদের স্মারকলিপি প্রদান
- জামালপুর প্রতিনিধি
- ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৯
জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ আব্দুর রব সিনিয়র আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জামালপুরে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামিয়াতুল মোদার্রেছিন মাদরাসা শিক্ষক সমিতি জামালপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সংগঠনের নেতারা এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয় ।
এ সময় বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছিন মাদরাসা শিক্ষক সমিতি জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মো: মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মোহাম্মদ আনোয়ারু হকসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারি সকালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠিসোটা, রড, শাবল দেশী অস্ত্র নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রবেশ করে মৃত সৈয়জুদ্দিনের ছেলে মো: আবুল কালাম আজাদ ও মৃত আব্দুল বাকির ছেলে আবু বকর সিদ্দিক। পরে তারা টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করে এবং খাতাপত্র ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় অধ্যক্ষ ইউনুছ আলী তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা অধ্যক্ষ ইউনুছ আলীকে উদ্ধার করে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই অধ্যক্ষ ২৩ জানুয়ারি বিকেলে মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি খুশনবীকে ২৪ জানুয়ারি সকালে বাহাদুরাবাদ বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে আসামিরা সবাই জামিনে মুক্তি পায়। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তারা অধ্যক্ষ ইউনুস আলীকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছিন মাদরাসা শিক্ষক সমিতি জামালপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও শিক্ষা অফিসারের নিকট স্মারকলিপি জমা দেন ।
এ ব্যাপারে আব্দুর রব সিনিয়র আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ ইউনুস আলী জানান, গত ২৩ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আবুল কালাম আজাদ ও আবু বকর সিদ্দিক দুজনে মাদরাসায় ঢুকে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে তাদের সাথে আরো ৩০-৩৫ জন লোক মাদরাসায় প্রবেশ করে। এ সময় তাদেরকে বাধা দিলে তারা আমাকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তারা আমাকে (অধ্যক্ষে) আমার কার্যালয় থেকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায়। পরে আমি মাদরাসা ত্যাগ করে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করি। মামলার পর গত ২৪ জানুয়ারি একজন আসামি গ্রেফতার হলেও পরবর্তীতে তিনিসহ মামলার সকল আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও অন্যান্যদেরন সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা