জানালপুরে সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রধান আসামি বাবুর জামিন আবারো স্থগিত
- জামালপুর প্রতিনিধি
- ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:১২
জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ চলমান থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো: সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এস এম আবুল হোসেন।
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার বিচারপতি মো: জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বাবুর ছয় মাসের জামিন দেন। পরদিন এই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
জানা যায়, ২০ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ এম ইনায়েতুর রহিম ২০ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল করে। সেই আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ চলমান রেখে আদেশ দেন।
গত বছর ১৪ জুন নির্মমভাবে খন হন জামালপুরের বকশিগঞ্জের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। দেশবাসী ও বিশ্ববাসী দেখেছেন। সিসি ফুটেজে এটা ধরা পড়েছে। হি (বাবু) ইজ দ্য পাইওনিয়ার। বাবু সাংবাদিক নাদিমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলাও করেছিল। যেদিন ওই মামলা খারিজ হয়, ঠিক ওই দিন নাদিম হত্যার ঘটনাটা ঘটে। খুনের মামলায় গ্রেফতার হয়ে বাবু স্বীকারোক্তিও দিয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত মনির ও রেজাউলু স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এই দু’জন বাবুর বিষয়ে কিছুটা ইনভলভমেন্ট করিয়েছে। সেটা হলো-ঘটনার আগে পরে তার (বাবু) সাথে কথা হয়। বাবু নিজেও স্বীকারোক্তি করেছেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টের একটি ভ্যাকেশন বেঞ্চ তাকে ছয় মাসের জন্য জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করা হয়। ২০ নভেম্বর পর্যন্ত পায় আট সপ্তাহের জন্যস্থগিতাদেশ দেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ পিটিশন ফাইল করে।
বৃহস্পতিবার এটার ওপর ফুল কোর্টে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আদেশে বলেছেন, যেহেতু চেম্বার স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন সেটা কন্টিনিউ করবে। আর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, নাদিমকে মারার ব্যাপারে বাবু একটি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। সেখানে তিনি নিজে একটা কথা বলেছেন। নাদিমকে মারার আগে আমি রেজাউলের সাথে কথা বলেছি। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে ১৪ জুন নাদিম ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেন বাবু। ঘটনার অনেকদিন আগে আমি নাদিমকে এক মিনিটে দেখে নেয়ার কথা বলি। এটা তার স্বীকারোক্তি ছিল।
গত বছরের ১৪ জুন রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশিগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার নিহত হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। ১৫ জুন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ১৬ জুন দুই দফা জানাজার পর বকশিগঞ্জের গুমের চর পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন করা হয়। এ ঘটনায় গত বছর ১৭ জুন বকশিগঞ্জ থানায় মাহমুদুল আলম বাবুসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম। বকশিগঞ্জ থানা পুলিশ মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করছে সিআইডি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা