জামালপুরে কলেজ কর্মচারীকে মারধর ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা
- জামালপুর প্রতিনিধি
- ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৫
জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের কর্মচারীকে মারধর করায় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ভুক্তভোগী ওই কর্মচারী এ ঘটনায় দু’জনের নাম উল্লেখসহ তিন-চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন। বুধবার দুপুরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কলেজের এক কর্মচারীকে মারধরের এ অভিযোগ উঠে।
মারধরের শিকার ওই কর্মচারীর নাম মো: হেলাল উদ্দিন। তিনি কলেজের হিসাবরক্ষক। মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি হলেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শামীম আহম্মেদ ও সহসভাপতি নাদিম হাসান। এ ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে জেলা ছাত্রলীগ বৃহস্পতিবার সাময়িক বহিস্কার করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে শামীম আহম্মেদ ও নাদিম হাসানের নেতৃত্বে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী কলেজের সাধারণ শাখায় কম্পিউটার কক্ষে আসেন। শামীম আহম্মেদ অন্য কলেজ থেকে স্থানান্তরের (মাইগ্রেশন) মাধ্যমে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে এই কলেজে ভর্তি নিতে বলেন। ওই সময় মো: হেলাল উদ্দিন অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া কারর নাম ভর্তির তালিকায় উঠাতে অস্বীকৃতি জানান। এতেই ছাত্রলীগ নেতা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে তারা সবাই মিলে হেলাল উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন এবং টেনেহিঁচড়ে হেলাল উদ্দিনকে ওই কক্ষ থেকে বের করে একটি ইজিবাইকে উঠায়। সেখানেও তাকে মারতে মারতে পৌর কবরস্থানে নিয়ে যায়। পরে তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা তাকে রেখে পালিয়ে যায। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় হেলালকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহম্মেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় শামীম সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। যা সংগঠনের শৃঙ্খলাপরিপন্থী অপরাধ। তাই শামীম ও নাদিমকে ছাত্রলীগের কলেজ শাখা থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এ ব্যাপারে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
জামালপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় দু’জনের নামসহ তিন-চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা