২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জিল বাংলা চিনিকল : লোকসান ঠেকিয়ে লাভের মুখ দেখার পরিকল্পনা

জিল বাংলা চিনিকল - ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের অন্যতম জিল বাংলা চিনিকল লিমিটেডে পর্যায়ক্রমিক লোকসান ঠেকিয়ে উন্নত প্রযুক্তিতে আখ চাষ বৃদ্ধি করে রিকোভারি বাড়িয়ে লাভের মুখ দেখতে ৫ বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে মিল কর্তৃপক্ষ।

পরিকল্পনা বা লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে চাষিদের গড় ফলন বৃদ্ধি, রিকোভারি বৃদ্ধি, আখের মূল্যবৃদ্ধি এবং মিলের চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন তথা লাভের মুখ দেখার আশাবাদ।

এবার বাড়ানো হয়েছে আখের মূল্য। এতে আগ্রহ বেড়েছে আখচাষিদের। গত মাড়াই মৌসুমে আখের মূল্য ছিল প্রতি কুইন্টাল ৩৫০ টাকা। এবার ২০২২-২৩ আখ মাড়াই মৌসুমে প্রতি কুইন্টালে ১০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪৫০ টাকা। মিল জোনের চাষির সংখ্যা ৫ হাজার এবং মৌসুমী কর্মচারীসহ মোট কর্মকর্তা কর্মচারীর সংখ্যা ৬৫০।

বৃহস্পতিবার জিল বাংলা চিনিকলে গমন করে কথা হয় মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান, কৃষি মহাব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন, অর্থ মহাব্যবস্থাপক জিয়াউল হক, কারখানা মহাব্যবস্থাপক নূরে আলম, ডিজিএম ক্রেডিট আলাউদ্দিন আহম্মেদ, ডিজিএম সম্প্রসারণ আসহাব উদ্দিন সহ অন্যদের সাথে।

তাদের সাথে আলাপে জানা যায়, ২৫ আগস্ট, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মিলের পুঞ্জিভূত লোকসান ৫৫৪ কোটি টাকা। যার বার্ষিক ব্যাংক সুদ গুনতে হয় ৪২ কোটি টাকার ওপরে। ২০২২-২৩ মাড়াই মৌসুমে ৯৩ হাজার টন আখে ৬ হাজার ৭০০ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। গতবার লোকসান হয়েছে ৭০ কোটি টাকা। এবারো লাভের মুখ না দেখাই স্বাভাবিক।

জানা গেছে, এবার আখ রোপনের লক্ষ মাত্রা ছিল ৬ হাজার একর, অর্জন হয়েছে ৫ হাজার ৫৩২ একর।

আলাপকালে মিলের এসব শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, দুটি বড় বন্যায় আখের ক্ষতি হওয়ায় গতবার মিল আখ পেয়েছে ৩৫ হাজার টন। গত মাড়াই মৌসুমে বিশেষ কারণে চাষিদের বীজ, সার, কীটনাশক, দেয়া সম্ভব হয়নি। এ কারণ ছাড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ফলন হয়নি তেমন। লক্ষ্যমাত্রাও ব্যহত হয়েছে, গুনতে হয়েছে বড় অঙ্কের লোকসান। এবার দ্বিগুণ বেড়েছে আখ চাষ। ২০২১-২২ মাড়াই মৌসুমে পর্যাপ্ত আখ না পেয়ে লক্ষ্যমাত্রার চিনি উৎপাদন না করা গেলেও তার পরের মাড়াই মৌসুম থেকে আশা করছি লাভের মুখ দেখব।

জিল বাংলা চিনিকলের এমডি রাব্বিক হাসান আরো বলেন, কম খরচে কম ঝুঁকিতে বেশি লাভের ফসল আখ। আখের মূল্য বৃদ্ধি করাতে এবং পূর্বের তুলনায় চাষিদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ বাড়ানোতে বর্তমানে আখচাষে ক্রমেই ঝুকে পড়ছে আখচাষিরা। অভিজ্ঞমহলের মতে, চার বিভাগের মধ্যে অন্যতম সেরা জিল বাংলা চিনিকলের লোকসান ঠেকিয়ে লাভের মুখ দেখাতে হলে মিলকে বহুমুখী করানোর কোনো বিকল্প নেই।


আরো সংবাদ



premium cement