দেওয়ানগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় : ৭০০ শিক্ষার্থীর শিক্ষক মাত্র ১০ জন, নেই কোনো কর্মচারী
- খাদেমুল ইসলাম, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর)
- ২৩ আগস্ট ২০২২, ২২:৫৯, আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২২, ১৭:২০
১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এক সময়ের সমবায় উচ্চ বিদ্যালয় বর্তমান দেওয়ানগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক কম থাকায় লেখাপড়ার ক্ষেত্রে মারাত্মক অসুবিধা দেখা দিয়েছে। জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র ১০ জন শিক্ষক। এখানে নেই কোনো সরকারি কর্মচারী।
জানা যায়, সেখানে নৈশপ্রহরী নিয়োগ হয়েছে বেসরকারিভাবে। এর মধ্যে নৈশপ্রহরী দিবা-রাত্রি এবং আয়া রয়েছে। স্কুলের ১৯টি বিষয়ে পড়াতে রয়েছে ১০ শিক্ষক।
অনেক অভিভাবক জানান, স্কুলে যেখানে ২৫ জন শিক্ষকের প্রয়োজন সেখানে রয়েছে মাত্র ১০ জন। আছে দুইজন প্যারাটিচার। শিক্ষার্থীদের পড়াতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষকদের। একটি সেকশনে ৭০-৭২ শিক্ষার্থী তীব্র গরমে গাদা-গাদি করে ক্লাস করছে।
মঙ্গলবার স্কুলে গমন করে কথা হয় প্রধান শিক্ষক রত্না সাহার সাথে। তিনি এ সাংবাদিককে জানান, আমি কিছুদিন হলো এখানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছি। শিক্ষার্থী প্রায় ৭০০, শিক্ষক ১০ জন এবং প্যারাটিচার দুইজন প্রতিদিন ক্লাস নিচ্ছে। সরকারি নিয়োগে কোনো কর্মচারী নেই। তবে বেসরকারিভাবে চারজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্কুলে ৬ তলা নতুন ভবন নির্মিত হচ্ছে, এ জন্য ক্লাস রুমের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
কয়েকজন অভিভাবক জানান, স্কুলে নেই সহকারী প্রধান শিক্ষক, নেই অফিস সহকারী। ঝাড়ুদার, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ অনেকেই নেই। এ ছাড়া গণিত শিক্ষকের দুইজনের স্থলে একজন, ভৌতবিজ্ঞানের দুইজনের স্থলে একজন, জীববিজ্ঞানের দুইজনের স্থলে একজন, বাংলার চারজনের স্থলে একজন, নেই ভূগোল শিক্ষক, সামাজিক বিজ্ঞানের দুইজনের স্থলে আছে একজন। এছাড়া আছে আরো নানা সমস্যা। শিক্ষক ও কর্মচারী সঙ্কটে এ স্কুলে পড়াশুনার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।
প্রধান শিক্ষক রত্না সাহার সাথে কথা বলার সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষিকা মেহেরুন্নেছা মেরী, অন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা