২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের রেল-যাত্রীদের মারাত্মক দুর্ভোগ

দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের রেল-যাত্রীদের মারাত্মক দুর্ভোগ - ছবি : প্রতীকী

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের যাত্রীদের মারাত্ম দুর্ভোগ দীর্ঘ দিনের। নতুন ট্রেন চালু, যাত্রী বগী বৃদ্ধি, আসন বৃদ্ধির দাবিসহ অন্য দাবি দীর্ঘ দিনেও বাস্তবায়িত হয়নি। এ কারণে এ পথের যাত্রীদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে উত্তর পশ্চিমের শেষ রেল স্টেশন দেওয়ানগঞ্জ বাজার। এ স্টেশন থেকে শুধু দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার যাত্রী সাধারণই নয়, গাইবান্ধা, বগুরা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট জেলাসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার যাত্রী এ স্টেশনের মধ্যদিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। বিশেষ করে উপজেলা -সংলগ্ন বকশীগঞ্জ, পশ্চিম ইসলামপুর, পূর্ব সাঘাটা, ফুলছড়ি, রাজিবপুর, রৌমারী, কর্তিমারীসহ বিভিন্ন উপজেলার অসংখ্যা যাত্রী এ স্টেশনে এসে ভিড় করে। বাড়ে চাপ। পায় না কাঙ্ক্ষিত টিকিট ও আসন। তাই বিকল্প পথে যায় তারা নিজ নিজ গন্তব্যে। দেওয়ানগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে ব্রক্ষপুত্র ও তিস্তা এক্সপ্রেস চলে ঢাকা মুখে প্রতিদিন। আসন সংখ্যা ২২০। ব্রক্ষপুত্র ১১০টি এবং তিস্তা এক্সপ্রেস ১১০টি। ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে এবং ৫০ শতাংশ টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি হয় বলে জানা যায়। এছাড়া আছে কমিউটার নামে ২টি ট্রেন। আসন সংখ্যার চাইতে ৪-৫ গুণ যাত্রী বেশি হয় এই স্টেশনে। বিশেষ করে যেসব যাত্রী চট্টগ্রামে যাতায়াত করেন তাদের কষ্ট অত্যধিক। কারণ বিজয় এক্সপ্রেস ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম আসা-যাওয়া করে।

ইতোপূর্বে রেলপথ মন্ত্রী এখানে এসে কথা দিয়েছিলেন বিজয় এক্সপ্রেস চলবে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত। তা আজো বাস্তবায়ন হয়নি। জামালপুর এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন চলে টাঙ্গাইল-ঢাকা মুখে।

সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ময়মনসিংহ হয়ে মেয়ের বাড়ি দেওয়ানগঞ্জে এসেছেন রোগাক্রান্ত বৃদ্ধা যাত্রী ময়না (৬৫)। বিজয় এক্সপ্রেস ময়মনসিংহ থেমে যায়। এরপর অনেক কষ্টে আসতে হয় দেওয়ানগঞ্জে। এ দুঃখ হাজারো যাত্রী সাধারণের।

দেওয়ানগঞ্জ রেল স্টেশন মাস্টার মো: আব্দুল বাতেন জানান, এখানে অসংখ্য যাত্রী। টিকিট ও আসন সে তুলনায় কম। তাই বগি ও আসন বৃদ্ধি খুবই প্রয়োজন।

 


আরো সংবাদ



premium cement