২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জাতীয় পতাকা টাঙাতে গিয়ে দুই সহোদরের মৃত্যু

জাতীয় পতাকা টাঙাতে গিয়ে দুই সহোদরের মৃত্যু - ছবি : নয়া দিগন্ত

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা সদরে নিজেদের অটো রিকশার দোকানে জাতীয় শোক দিবসের পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সহোদর দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার খাদ্য গুদামের সামনে 'হৃদয় অটো হাউজ' নামে অটো হার্ডওয়ার ও ওয়ার্কশপে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই ভাই হলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের নগরহাটি গ্রামের মৃত নেপাল কর্মকারের
ছেলে হৃদয় কর্মকার (২৬) ও বিজয় কর্মকার (১৬)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, শোক দিবস হওয়ায় একটু আগেই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিজয় কর্মকার তাদের দোকানের শাটার খোলে। পরে দোকানের সামনে স্টিলের পাইপ দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে যায়। এ সময় স্টিলের পাইপ পল্লী বিদ্যুতের মেইন তারে লেগে যায়, এতে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন বড় ভাই হৃদয় কর্মকার। এ সময়
ভাইকে স্পর্শ করামাত্র তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

তাদের উদ্ধার করে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা: ইসতেয়াক হোসেন রিফাত বলেন, আমাদের কাছে রোগীকে নিয়ে এলে আমরা মেডিক্যাল টিম গঠন করে প্রায় ৩০ মিনিট বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। অবশেষে ইসিজি করি। পরে নিশ্চিত হয়েছি তারা আগেই মারা গেছেন।

ইটনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো: কামরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পতাকা টাঙাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওই দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, তারা তিন ভাই। কোনো বোন নেই। বাবা মারা গেছেন চার বছর আগে। সবার বড় হৃদয় কর্মকার ও সবার ছোট বিজয় কর্মকার। এই দুই ভাই মিলে ইটনা সদর বাজারে হার্ডওয়ার ওয়ার্কশপটি চালাতেন। পাশাপাশি হৃদয় কর্মকার টেলিটকে চাকরি করতেন। বিজয় কর্মকার স্থানীয় মহেশচন্দ্র মডেল শিক্ষা নিকেতনে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ালেখা করতো। আর মেজো ভাই লাখাইয়ে তার মামার দোকানে থাকেন। এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।


আরো সংবাদ



premium cement