যৌতুকের জন্য ১ সন্তানের মাকে পিটিয়ে হত্যা
- গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা
- ২৫ জুন ২০২২, ২০:২২
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে যৌতুকের জন্য মুসলিমা খাতুন (২৪) নামের দু’বছরের এক সন্তানের মাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় পুলিশ গৃহবধূর শাশুড়ি আনোয়ারা বেগমকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে।
নিহত গৃহবধূ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার টাংগাব ইউনিয়নের ছাপিলা গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার টাংগাব ইউনিয়নের ছাপিলা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আল আমিনের সাথে তিন বছর আগে নিহত গৃহবধূ মুসলিমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর আল আমিন ও মুসলিমা দম্পতির ঘরে আরাফাত (২) নামে এক শিশু সন্তানের জন্ম হয়। এর পরপরই শুরু হয় যৌতুকের জন্য তাদের দাম্পত্য কলহ। এ নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকত। শুক্রবার রাতে বিবাদের একপর্যায়ে স্বামী আল আমিন মুসলিমাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে নিজ ঘরেই ফেলে রাখে। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নিজ ঘরেই মারা যান মুসলিমা খাতুন। খোঁজ পেয়ে প্রতিবেশীরা পাগলা থানা পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মুসলিমার রক্তমাখা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার রাতেই নিহতের মা রোকেয়া খাতুন মেয়ের জামাই আলামিন, শ্বশুর মফিজ উদ্দিন ও শাশুড়ি আনোয়ারা বেগমকে আসামি করে পাগলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতের মা রোকেয়া খাতুন জানায়, বিয়ের পর থেকে আনোয়ারা বেগমের নির্দেশে আল আমিন আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত। এক বছর আগে আনোয়ারা বেগম ও আল আমিনের পিটুনির পর আমি আমার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাই এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলাম। ওই সময় তারা আর কখনো এমন অত্যাচার করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করায়। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।
পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রাশেদুজ্জামান জানান, আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর পলাতক রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা