২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি

পানিবন্দী লোকদের উদ্ধার করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। - ছবি : নয়া দিগন্ত

নেত্রকোনায় অব্যাহত পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। ঢলের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। প্লাবিত ১০ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা, সুসং দুর্গাপুর, হাওরাঞ্চলের খালিয়াজুরি ও মোহনগঞ্জ।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্যাকবলিত ১০ উপজেলার ৬২টি ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের অধিক নারী-পুরুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

সীমান্তের পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরী, কংশ,ধনু, গনেশ্বরী, উব্দাখালী, মঙ্গলশ্রী, মহাদেও ও মগড়া নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ঢলের পানির প্রবল স্রোতের টানে অসংখ্য গাছপালা ও ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। মোহনগঞ্জ ইসলামপুর এলাকায় প্রবল পানির তোড়ে ভেঙ্গে পড়া রেলব্রিজ মেরামত সম্ভব না হওয়ায় এখনো নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জ রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানের সড়ক ও রাস্তা ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার সকাল থেকে নেত্রকোনা পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থান প্লাবিত হয়ে পড়েছে। তন্মধ্যে মালনী, নিউ টাউন, চকপাড়া, বাহির চাপড়া, সাতপাই, নাগড়াসহ বিভিন্ন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এখনো জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের দুর্গম এলাকার অসংখ্য নারী-পুরুষ পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

সোমবার রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ওইসব দুর্গম এলকার পানিবন্দীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবি’র সদস্যরা পানিবন্দীদের উদ্ধার ও বন্যার্তদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

নেত্রকোনায় প্রথম সদ্য যোগদানকারী নারী ডিসি অঞ্জনা খান মজলিশ সাংবাদিকদের জানান, বন্যার্তদের মাঝে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে অসুস্থ বন্যার্তদের মেডিক্যাল টিম চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।


আরো সংবাদ



premium cement