২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দেওয়ানগঞ্জে বিপদ সীমার ওপরে পানি, জলমগ্ন উপজেলা পরিষদ

দেওয়ানগঞ্জে বিপদ সীমার ওপরে পানি, জলমগ্ন উপজেলা পরিষদ। - ছবি : নয়া দিগন্ত

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি মাপক আব্দুল মান্নান জানান, রোববার দুপুর পর্যন্ত যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদ সীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপরে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে। একইসাথে সরকারি হাসপাতাল ও দেওয়ানগঞ্জ রেল স্টেশন সড়কও পানিতে ডুবে গেছে।

জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে বন্যায় উপজেলা পরিষদের অধিকাংশ সরকারী দফতর বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি, তাই এখনি এসব দফতরের মূল্যবান কাগজপত্র ও আসবাবাদি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে।

পৌরসভাসহ উপজেলার ৮ ইউনিয়নের নিমাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাট-শাক সবজির বাগানসহ অন্যান্য ফসল তলিয়ে গেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যায় তিন শ’ বন্যার্ত নারী-পুরুষকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন্নাহার শেফা বিদ্যালয়টিকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছেন। তিনি বন্যার্তদের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং চুকাইবাড়ী ইউয়িনে দুই টন চাল বরাদ্দ দিয়েছেন।

চুকাইবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান জানান, তার ইউনিয়নে গুজিমারী গুচ্ছ গ্রাম ৩-৪ ফুট পানির নিচে। কয়েক শ’ পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যমুনার ওপারে টিনের চর, চর হলকা হাবড়াবাড়ী, হলকারচর গ্রামের চারিদিকে পানি হওয়ায় দ্বীপাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। তার ইউনিয়নের প্রায় সবক’টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। তিনি আরো জানান, ত্রাণ সাহায্য নয়; আমার এবং আমার ইউনিয়নবাসীর একমাত্র দাবি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ।

এদিকে দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ী-সড়কে মন্ডলবাজারে ৩০০ মিটার সড়ক ধসে গিয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পানিবন্দি ও জলমগ্ন এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ করা দরকার বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।


আরো সংবাদ



premium cement