ভয়াবহ বন্যায় নেত্রকোনায় রেল যোগাযোগ বন্ধ
- নেত্রকোনা সংবাদদাতা
- ১৮ জুন ২০২২, ১৯:৫৯, আপডেট: ১৮ জুন ২০২২, ২০:০০
টানা প্রবল বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গোটা নেত্রকোনা জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জেলার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা ও সুসং দূর্গাপুরের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে অসংখ্য মানুষ।
গত তিন দিনে ওই দুই উপজেলাসহ মদন, খালিয়াজুরি, বারহাট্রা উপজেলায় শিশুসহ অন্তত পাঁচ লাখের বেশি নারী-পুরুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কলমাকান্দা ও দূর্গাপুর উপজেলায় ব্যাপক পাহাড়ি ঢলে নদী ও রাস্তাঘাট সব একাকার হয়ে পড়েছে। এছাড়া মোহনগঞ্জ, মদন, খালিয়াজুরি, আটপাড়া, বারহাট্রা, পূর্বধলা ও নেত্রকোনা সদর উপজেলা বন্যা-কবলিত হয়ে পড়েছে।
প্রবল পানির স্রোতে শনিবার সকালে মোহনগঞ্জ ইসলামপুর রেলব্রিজের দুই পাড়ের মাটি ও ইটের গার্ডার ধসে পড়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সীমান্ত উপজেলায় ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
দুই হাজারের বেশি চাষকৃত পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। উপজেলার আট ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রাম বন্যা-কবলিত হয়ে পড়ায় পশ্চিমবাজার, পূর্ববাজার, চানপুর ও কলেজ রোডসহ বেশির ভাগ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে।
এছাড়া কলমাকান্দা ও দূর্গাপুরে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পানিবন্দিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত দূর্গাপুর, কলমাকান্দা, বারহাট্রা, মদন, খালিয়াজুরি উপজেলায় ১৯০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তাতে প্রায় ১৭ হাজার বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যার্তদের মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৬৮ টন চাল এবং দু‘ লাখ ৫০ হাজার টাকার শুকনা খাবারের প্যাকেট দেয়া হয়েছে।
নেত্রকোনা রেল স্টেশন মাস্টার মো: নাজমুল হক খান নয়া দিগন্তকে বলেন, মোহনগঞ্জে একটি রেলব্রিজের দুই ধারের মাটি ও পাথর ধসে পড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় মোহনগঞ্জের সাথে সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ পরিদর্শন ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে রেলের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা নেত্রকোনায় রওনা দিয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা