ভালুকায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত, পৌর এলাকা লকডাউন
- আসাদুজ্জামান, ভালুকা (ময়মনসিংহ)
- ২০ এপ্রিল ২০২০, ১১:৫৫, আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০, ১২:২২
ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড গজারী খালপাড় এলাকায় প্রথম এক ব্যক্তির করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। রোববার রাত সোয়া ১১টায় উপজেলা প্রশাসন পুরো পৌরসভাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভালুকা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড গজারীয়া খালপাড় এলাকার ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে কিডনী রোগে ভুগছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালসিস করতেন। শনিবার ডায়ালসিস করতে গেলে তাকে করোনা টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে যেতে বলা হয়। পরে রোববার সকালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় নমুনা দেন তিনি। সেখানে তার শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি ধরা পড়ে। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে উপজেলা প্রশাসন ভালুকা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডকে বিশেষ নজরদারিতে রেখে পুরো পৌরসভাকে লকডাউন ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরুর পর থেকে রোববার পর্যন্ত ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। তবে তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
ভালুকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ স্বেচ্ছাসেবী কমিটির সমন্বয়ক রোমেন শর্মা জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার তার কিডনীর ডায়ালসিসের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানকার চিকিৎসক এই রোগীকে ডায়ালসিসের আগে তার কোভিড-১৯ পরীক্ষার পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি পরীক্ষা করাননি। এরপর রোববার সকালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নমুনা দেন তিনি। সেখানে তার শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপরই বিষয়টি তিনি জানতে পারেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল জানান, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাই পুরো পৌরসভা লকডাউন করা হয়েছে। সোমবার সকালে কয়েকজন ডাক্তার করোনা আক্রন্ত ব্যক্তিকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনের জন্য নিয়ে গেছেন। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে করোনা পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বেশ কিছু দিন ধরে আক্রান্ত ব্যক্তির একমাত্র ছেলে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটিতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছিলেন। এ জন্য ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যারা ওই আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গিয়েছেন, তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সকাল থেকেই পৌর এলাকায় কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিনা কারণে কাউকে বাড়ির বাইরে পাওয়া গেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা