ময়মনসিংহে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন
- ময়মনসিংহ অফিস
- ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:১১, আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:১৭
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202502/19692159_199.jpg)
আগামী ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি শনিবার ময়মনসিংহে আসছেন বিশ্বনন্দিত ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী। ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান মুফাসসির হিসাবে উপস্থিত থাকবেন তিনি।
ড. মিজানুর রহমান আজহারীর আগমন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আয়োজক কমিটি আল ইসলাম ট্রাস্ট, ময়মনসিংহ।
এ সময় আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সোহেল, সদস্যসচিব শহীদুল্লাহ্ কায়সার, সদস্য মাহবুবুর রশদি ফরাজী, অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার, শরীফুল ইসলাম খালিদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন বলেন, মিজানুর রহমান আজহারী কোনো দল বা গোষ্ঠীর নন। তিনি বিশ্ববরেণ্য একজন ইসলামিক স্কলার। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। তার আগমনের দিন ময়মনসিংহে লাখ লাখ মানুষ থাকবেন। মহানগরীতে যেহেতু লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত থাকবেন, সেহেতু মানুষের কিছু অসুবিধা হতে পারে। সে জন্য তিনি সবার কাছে আগাম দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ইসলামের স্বার্থে সবাই এ অসুবিধা মেনে নিবেন বলে আশা করি। বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিতির কারণে শহরে যানবাহন চলাচলেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে ওই দিন। শম্ভুগঞ্জ ব্রিজের আগেই বড় যানবাহনকে আটকে দেয়া হবে। এছাড়া ময়মনসিংহ নগরের মাসকান্দা, আকুয়া বাইপাস ও রহমতপুর বাইপাসে আটকে দেয়া হবে বড় যানবাহন। তবে শহরের অবস্থা অনুযায়ী ইজিবাইক (অটো) চলাচল করবে। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ময়মনসিংহে। সেক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের জন্য শহরে চলাচলে কোনো বাধা থাকবে না। তবে মূল শহরে যানজটের আশঙ্কায় সবাইকে বাইপস ব্যবহারের অনুরোধ জানান কামরুল হাসান মিলন।
কামরুল হাসান মিলন অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ওই দিন পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা জনগণের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। তবু অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে ওই দিন মাহফিলে অংশ নেয়া মহিলাদের স্বর্ণালঙ্কারের মতো দামি জিনিস ব্যবহার না করতে বলেন তিনি। পুরুষেরাও প্রত্যেকে নিজের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যেন বিশেষ সর্তক থাকেন।
মাফহিলের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে সার্কিট হাউজ মাঠ। দুই লাখ বর্গফুটের প্যান্ডেল ছাড়াও পুরো মাঠটিতে অবস্থান নিতে পারবেন সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা। থাকবে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা, ২২টি স্থানে বড় পদায় সরাসরি প্রচার করা হবে মাহফিল।
এ মাহফিলকে সফল করার লক্ষ্যে বিএনপি ও জামায়েত ইসলামীসহ ইসলামি দলগুলো একযোগে কাজ করছে। এছাড়া ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সাথে আয়োজকদের সাথে সভা হয়েছে।
আয়োজকরা মনে করছেন এই মাহফিলকে কেন্দ্র করে ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হতে পারে। ইতোমধ্যে মাহফিলের মাঠ প্রস্তুত হয়েছে। মাহফিলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখতে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাহফিলে শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সহশ্রাধিক স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। সকাল ১০টায় শুরু হবে মাহফিলের কার্যক্রম। শেষ হবে আসরের নাজামের পর।