জামালপুরে গণধর্ষণ মামলায় আগাম জামিন নামঞ্জুর, আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ
- জামালপুর প্রতিনিধি
- ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:১৯
জামালপুরের ইসলামপুরে এক কিশোরী গণধর্ষণ মামলার চার আসামিকে আগাম জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এসব তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সাইফুল্লাহ সাইফ।
আসামিরা হলেন পৌর শহরের গাওকুড়া দর্জিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মামিনুলের ছেলে মাহিন রহমান জুবাই (১৮), সোনা আলীর ছেলে বাবু (২৮), সুরুজের ছেলে রাকিব (২০) এবং ভেঙ্গুড়া সর্দারবাড়ী মোড় এলাকার পিন্টুর ছেলে মাহফুজ (২০)।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হাইকোর্টে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আগাম জামিনের আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে আসামি চার বন্ধুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
ইসলামপুর থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন রাত ৮টার দিকে ইসলামপুর পৌর শহরের রৌহারকান্দা ব্রিজ এলাকায় এক স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী। তাকে একা পেয়ে স্থানীয় একটি কাঠ গাছের বাগানে নিয়ে চার বন্ধু দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।
ওই ঘটনার তিন দিন পর গত ২৯ জুন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত চারজনের নামে ইসলামপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে বসতবাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে রৌহারকান্দা ব্রিজ এলাকায় বেড়াতে যায় ওই কিশোরী। এ সময় আসামি মাহিন রহমান জুবাই বেড়ানোর কথা বলে ওই কিশোরীকে পৌর শহরের একটি কাঠ গাছের বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে আসামি বাবু ফোন করে তার বন্ধু রাকিব ও মাহফুজকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসামি মাহিন ধাক্কা মেরে ওই কিশোরীকে মাটিতে ফেলে দেয়। এ সময় কিশোরী ডাক-চিৎকার করলে মুখ চেপে ধরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মাহিন। এর পর বাবু, রাকিব ও মাহফুজ পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ইসলামপুর থানার ওসি মো: সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘আসামিদের গ্রেফতারে কাজ করছিলাম। কিন্তু আসামিরা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলো। এক পর্যায়ে গণধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামি সশরীরে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে আবেদন করে। বিজয় ৭১ ভবনে ২১ নম্বর কোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো: সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর দ্বৈত বেঞ্চ আগাম জামিন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের দায়িত্বে সংশ্লিষ্টরা ওই চার আসামিকে রাজধানীর শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’