শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি : মাহমুদুর রহমান
- ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
- ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:১৭
শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি মন্তব্য করে সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা ও আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ‘যারা তাকে ফ্যাসিবাদ হতে সহায়তা করেছিল তারা এখন আওয়ামী লীগের বদলে অন্য দলের ওপর সওয়ার হবে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। বিভাজনের রাজনীতিকে কবর দিতে হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো বিদেশী শক্তিকে অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে কুক্ষিগত করতে দেয়া হবে না।’
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর টাউনহলের তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে একটি সম্মিলিত সামাজিক প্রয়াস আস-সিরাজ আয়োজিত ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে এবং ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে জুলাই বিপ্লবোত্তর আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘২০১৩ সালে যারা শহীদ হয়েছিলেন আমরা অনেকেই মনে করেছিলাম আন্দোলন বিফলে গেছে। কিন্তু না, সেই আন্দোলনের বিজয় ২০২৪ সালে এসেছে। তাদের বিপ্লব সফল হয়েছে এই প্রজন্মের মাধ্যমে।’
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উচিৎ ছিল ক্ষমতায় বসার পর দেশে একটা শুদ্ধি অভিযান করা। তা না করে হঠাৎ পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে দিয়েছেন। তা বাড়ানোর আগে পরামর্শের প্রয়োজন ছিল। যেখানে গরীবের কষ্ট হবে না, সে জায়গায় ভ্যাট বাড়ানো উচিৎ ছিল।’
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘বছরের পর বছর মানুষ খুনি হাসিনার মাধ্যমে অত্যাচারিত হয়েছে। তার ক্ষমতার পিপাসার কাছে জিম্মি ছিল মানুষ। তাই প্রত্যেকটি মানুষ জীবনের মায়া ত্যাগ করে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছিল। যারা হাসিনার দোসরদের ভয়ে আন্দোলনে যেতে পারেনি তারা তাদের স্ত্রী সন্তান এবং স্বজনদের আন্দোলনে যেতে সহযোগিতা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে চাঁদাবাজি হচ্ছে, সিন্ডিকেট হচ্ছে, কারা করছে তাদের কথা কেন বলতে পারছি না। প্রত্যেকটা বাজারে চাঁদাবাজি জন্য পণ্যের দাম বাড়ছে। এতে সরকারকে দোষারোপ করে কোনো লাভ নেই। আমরা কাউকে ছাড়ব না, তাই বুকটান করে প্রতিবাদ করতে হবে। আমদের এ লড়াই বাংলাদেশকে সামনে রেখে হোক, মানুষের জন্য হোক।’
অনুষ্ঠানে আস-সিরাজ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুফতি মুহিবুল্লাহর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. একে ফজলুল হক ভূঁইয়া, রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লুৎফর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ মাহাদী, ড. আতিক মুজাহিদ প্রমুখ। এ সময় অনুষ্ঠান শেষে ১৫ জন শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের অর্থ বিতরণ করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা