টিউশনিতে গিয়ে অপহরণের শিকার বাকৃবি শিক্ষার্থী, আটক ৩
- বাকৃবি প্রতিনিধি
- ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:১১
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এক শিক্ষার্থী ময়মনসিংহ শহরে টিউশন করাতে গেলে অপহরণ এবং নির্যাতনের শিকার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় আটক হয়েছে তিনজন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এই বিষয়টি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: আবদুল আলীম।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম সাজিদ হাসান (২০)। তার বাবার নাম ডিএম হাসান আলী।
ওই শিক্ষার্থী ১ম বর্ষের শহীদ শামসুল হক হলের আবাসিক ছাত্র। বিষয়টি জানতে পেরে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন ভুক্তভোগীর পরিবার। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তিন অপহরণকারীকে ২৪ হাজার টাকাসহ আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটক অপহরণকারী তিনজনের নাম নাফিজ আহম্মেদ জয় (১৯), সানজিদ আলম (১৯) এবং মুশফিকুর রহমান ফুয়াদ (১৫)। তারা সকলেই ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী মডেল থানার বলাশপুরের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, ৭ জানুয়ারি রাত ৭টার দিকে জয় আমাকে টিউশনি দেয়ার কথা বলে ফুয়াদের বাসার ছাদে নিয়ে যায়। আমি ছাদে গিয়ে দেখি ওখানে সানজিদ আলম ও ফুয়াদ অবস্থান করছে। তখন তারা তিনজন মিলে আমাকে আটক করে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তখন আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে মারধর করে।
পরে ফুয়াদ মুক্তিপনের জন্য বাবাকে ফোন করে বলেন, আপনার ছেলেকে বাঁচাতে চাইলে আপনার ছেলের বিকাশ নাম্বারে এক লাখ টাকা পাঠান। তখন আমার বাবা বিকাশ নাম্বারে তিন ধাপে ২০ হাজার ২০০ টাকা পাঠান। পরে জয় আমার ভিসা কার্ড ও মোবাইল বের করে নেন।
পরবর্তীতে আমি ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে হলের বন্ধুসহ শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্যার কোতয়ালী মডেল থানায় জিডি করেন। পরে পুলিশ গত ৮ জানুয়ারি আমাকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে জয়, সাজিদ ও ফুয়াদকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে।
বিষয়টি সম্পর্কে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: আবদুল আলীম বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পরেই খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়ে থানায় অবহিত করি। থানায় যাবার পরে, পুলিশ প্রশাসন খুবই সহযোগিতামূলক আচরণ করেছে। তারা অতিদ্রুত কাজটি সম্পন্ন করেছে। ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা এবং ভিসি স্যারও এই বিষয়ে অবহিত।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা