বিয়ের জন্য ডেকে কলেজছাত্রকে হত্যা, আরেক প্রেমিকসহ তরুণী গ্রেফতার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৮
শেরপুরে বিয়ের কথা বলে ডেকে এনে কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার প্রেমিকার বিরুদ্ধে। নিখোঁজের সাত দিন পর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রেমিকা, তার বাবা ও অপর প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় জেলা শহরের সজবরখিলাতে একটি বাড়ির উঠান থেকে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুমন মিয়া (১৭) শেরপুর পৌর শহরের বারেক পাড়া মহল্লার নজরুল ইসলাম ও কল্পনা বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান। তিনি শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় সুমনের প্রেমিকা শেরপুরের শ্রীবরদি উপজেলা কাউনের চর গ্রামের বাসিন্দা আন্নি আক্তার (১৮), তার বাবা আজিম মাস্টার ও আরেক প্রেমিক রবিনকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুমন মিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সহপাঠি আন্নি আক্তারের। এদিকে সুমনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও আন্নি প্রেমে জড়িয়ে যান সুমনের অপর বন্ধু শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লার ফোরকান পুলিশের ছেলে রবিনের সাথে। পথের কাঁটা সুমনকে সরাতে গত ৪ নভেম্বর বিকেলে বিয়ের কথা বলে রবিনের বাড়িতে ডেকে আনেন রবিন ও আন্নি। এরপর সুমনকে হত্যা করে নিজ বাড়ির উঠানে মাটিতে পুতে রেখে পালিয়ে যান তারা।
আরো জানা গেছে, রাতে সুমন বাড়ি না ফিরলে শেরপুর সদর থানায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি এবং ১০ নভেম্বর রাতে আন্নি ও তার মা-বাবাসহ কয়েকজনের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করে সুমনের বাবা। মামলা দায়েরের পরই শেরপুর শহরের গৌরিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় আন্নি ও তার বাবাকে। পরে আন্নির স্বীকারোক্তিতে তার অপর প্রেমিক রবিনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর সোমবার গভীর রাতে রবিনের স্বীকারোক্তিতে শহরের সজবরখিলার তার বাড়ির আঙ্গিনায় মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় সুমনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কলেজছাত্র সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলের হত্যাকারী সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মো: আমিনুল ইসলাম জানান, ত্রিভুজ প্রেমের জেরে নিহত সুমন হত্যার সাথে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে ব্যবেস্থা নেয়া হবে।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা