২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বাকৃবিতে কৃষিগুচ্ছ পরীক্ষায় উপস্থিতি ৭৮ শতাংশ, বহিষ্কার ১

পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের একাংশ - ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের নয়টি কৃষিবিষয়ক ডিগ্রি প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দেশের ১১টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, দেশব্যাপী আটটি মূল কেন্দ্র ও তিনটি উপকেন্দ্রে শুরু হয় কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) উপস্থিত পরীক্ষার্থীর হার ছিল ৭৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। এবারের পরীক্ষায় মোট ৭৫ হাজার ১৭ জন পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়। এর মধ্যে বাকৃবি কেন্দ্রে মোট ১২ হাজার ৬৩৪ জন পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে।

বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক ও ভর্তি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. খন্দকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাকৃবি কেন্দ্রে নয় হাজার ৮৭৫ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন এবং উপস্থিতির হার ৭৮ দশমিক ১৬। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের দ্বিতীয় ভবনের একটি কক্ষে একজন পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নকলের চেষ্টা করে। এ সময় তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তাকে ধরে তল্লাশি করা হয় এবং মোবাইল ফোন ও প্রশ্নপত্রের ফটো পাওয়া যায়। পরে তাকে বহিস্কার করে কোতয়ালী থানায় পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক মো: আবদুল আলীম, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান অধ্যাপক মো: আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

পরীক্ষার সার্বিক বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মোট ২০টি অঞ্চলে একযোগে পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের প্রস্তুতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়েছে। বাকৃবি থেকে কৃষিতে উচ্চশিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে, যারা দেশের কৃষি খাতকে আরো শক্তিশালী করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্রতা ও আদর্শকে বজায় রাখতে কৃষিগুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।'

ভর্তি পরীক্ষার সামগ্রীক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে একাধিক পরীক্ষার্থীরা জানায়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলেই পরীক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিক। শিক্ষার্থীদের দেয়া সহায়তা কেন্দ্রগুলো থেকে তারা সার্বিক সহায়তা পেয়েছেন। এছাড়াও প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থাকা নিরাপত্তাকর্মী ও রোভার স্কাউট সদস্যদের কাছে থেকে তারা যাতায়াত বিষয়ক সকল দিক-নির্দেশনা পেয়েছেন।’

রংপুর থেকে আসা এক পরিক্ষার্থী জানান, ‘ইংরেজি এবং জীববিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নগুলো তুলনামূলক কঠিন হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা এক হাজার ১১৬, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৫, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৯৮, চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭০, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৮, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০ এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০টি আসন রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement