বাকৃবিতে পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছ থেকে তৈরি পণ্যের প্রদর্শনী
- বাকৃবি প্রতিনিধি
- ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৩৯, আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৪০
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছ থেকে তৈরি বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত পণ্যের মূল্য সংযোজিত মৎস্য পণ্য প্রদর্শনী-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের চত্বরে ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের আয়োজনে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
প্রদর্শনীটি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও রুরাল মাইক্রো-এন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন (আরএমটিপি) প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ সময় প্রদর্শনীতে পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছের কাটলেট, ফিস স্ট্রিপ, ফিস বল, ফিস পাউডার, পাঙ্গাসের সস, ফ্রোজেন ফিস এবং কাঁচকি, টাকি, মোয়া বিভিন্ন প্রোসেসিং মাছ প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও সরাসরি রান্নার উপযোগী টাকি, কই, শিং, মাগুর, ইলিশ, রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন মাছের ফ্রোজেন পণ্য প্রদর্শন করা হয়। সাবির এগ্রো, সওদা-ই বাজার এবং আবিদ এগ্রো এ প্রদর্শনীতে অংশ নেয়।
বাকৃবি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: শাহেদ রেজা, অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখাসহ মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের স্নাতকোত্তরের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা ফিশারিজের শিক্ষার্থীরা যে বিষয়গুলো পড়ি সেগুলো আজ চোখের সামনে দেখে অনেক ভালো লাগছে। কিছু আইটেম খেয়েও দেখলাম অনেক স্বাদ হয়েছে। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ অনেক বাচ্চারা খেতে চায় না তবে এই মুখরোচক খাবারগুলো বাচ্চারা অনেক পছন্দ করবে।’
এ সময় ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: শাহেদ রেজা বলেন, ‘আমাদের দেশে খামারি বা কৃষকরা যে মাছ উৎপাদন করে এগুলো বাসায় কেটে, পরিষ্কার করে তারপর খেতে হয়। এখানে যে উদ্যোক্তারা আছেন তারা এই মাছ প্রক্রিয়াজাত করে এমনভাবে তৈরি করেছে যাতে বাজার থেকে কিনে প্যাকেট খুলেই সরাসরি রান্না করা যায়। প্রদর্শনীতে দু’ধরনের পণ্য আছে মূলত একটি হচ্ছে সরাসরি রান্নার উপযোগী এবং অন্যটি সরাসরি খাওয়ার উপযোগী।’
তিনি বলেন, ‘পুষ্টিমানের দিক থেকে গোস্তের চেয়ে মাছ অধিক উন্নত মানের। কিন্তু আমাদের দেশের বাচ্চারা অনেকে কাঁটার ভয়ে মাছ খেতে চায় না। তবে এখানে এ ধরনের পণ্যে কোনো কাঁটা নেই এবং খেতেও মুখরোচক তাই বাচ্চারাসহ সকলেই সানন্দে খেতে পারবে। চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, কর্মজীবনে যারা ব্যস্ত থাকেন তারা এই পণ্যগুলো কিনে সরাসরি রান্না করতে পারবে এতে সময় সাশ্রয় হবে।’
আমাদের বিভাগের পক্ষ থেকে এই ধরনের উদ্যোগকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে বলেও তিনি জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা