২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে ইসলামের : মতিউর রহমান আকন্দ

রুকন সম্মেলনে জামায়াত নেতারা - ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার বিভাগীয় সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, ‘আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে ইসলামের এবং নেতৃত্ব দেবে জামায়াতে ইসলামী। ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের পর জামায়াতের পক্ষে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, জনগণ ব্যাপক সাড়া দিয়েছে।’

রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে নগরীর টাউনহল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার রুকন সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘ইসলামের পক্ষে গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। ইসলামবিরোধী শক্তির মোকাবিলা করতে জামায়াতের জনশক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। দশ কোটি জনশক্তি তৈরি করতে পারলে আগামী দিনের নির্বাচন হবে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন। তবেই বাংলার জমিনে বিপ্লব হবে।’

এ সময় যারা জামায়াত নেতাদের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুানাল গঠন করেছিল, তাদেরকে ওই ট্রাইবুনালেই রাষ্ট্রীয়ভাবে বিচার করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জামায়াতে ইসলামীর ময়মনসিংহ জেলা আমির আবদুল করিমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক ড. সামিউল হক ফারুকী, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ময়মনসিংহ অঞ্চল টিমের সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, মহানগর আমির মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল, জেলা নায়বে আমির কামরুল হাসান মিলন, মহানগর নায়েবে আমির আসাদুজ্জামান সোহেল, সেক্রেটারি শহীদুল্লাহ কায়সার, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ডা. শাহাব উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সাবেক জেলা আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাহবুব ফরাজী। এ সময় জেলা ও মহানগর নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক দলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে জনগণ এখন জামায়াতে ইসলামীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বিগত দিনে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তাদের মধ্যে এমন কোনো দল নেই যারা দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। চার দলীয় জোট সরকারের আমলে জামায়াতের দু’জন নেতা তিনটি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছেন। কিন্তু ওয়ান ইলেভেন ও আওয়ামী লীগের আমলের সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশন জামায়াত নেতাদের কোনো দুর্নীতি খুঁজে পায়নি। এই কারণেই বাংলাদেশের মানুষ জামায়াতের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করতে জামায়াত রুকনদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘সারাবিশ্বের মানুষ এখন ইসলামের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। ইসলাম নিয়ে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি করা যাবে না। পৃথিবীতে কোনো কট্টর মতবাদ যদি থেকে থাকে, তাহলে সেটি হলো সেক্যুলারিজম। ইসলামে এমন দৃষ্টান্ত নেই। ইসলামকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে।’

ড. সামিউল হক ফারুকী বলেছেন, ‘জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে আমাদের প্রকৃত বিজয় হয়নি। এই বিজয় আমাদের বিজয় অর্জনের পথকে প্রশস্ত করেছে। অবাধে দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার সুযোগ হয়েছে। দ্বীন কায়েম করতে হলে ঘরে ঘরে জনশক্তি তৈরি করতে হবে।’

কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘লগি-বৈঠার আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার পথ হারিয়েছে। আমাদের এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।’

এ সময় রুকনদের পরিকল্পিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement