২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

হালুয়াঘাটে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল, পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ

হালুয়াঘাটে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল, পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ - ছবি : নয়া দিগন্ত

ষষ্ঠ দিনেও হালুয়াঘাটের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় কৈচাপুর, ধারা, ধুরাইল, স্বদেশী, নড়াইল, বিলডোরা, শাকুয়াই ও হালুয়াঘাট ইউনিয়নের কালিয়ানীকান্দা, বালিচান্দা, খন্দকপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ এখনো পানিবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করছেন।

এদিকে বন্যার পানিতে ফসলি জমি, রাস্তা, মাঠ-ঘাট তলিয়ে গেছে। স্কুল, মাদরাসা, ঘর-বাড়ির চারদিকে শুধু পানি আর পানি। বিভিন্ন পুকুর তলিয়ে ভেসে গেছে মাছ। গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে মানুষ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সঙ্কট। ঘরের ভেতর পানি, রান্নার কাজও ব্যাহত হচ্ছে, অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে বহু মানুষ।

দেখা গেছে, ধুরাইল ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের নয়পাড়া, বনপাড়া, ঝাউগরা, রামনগর, কন্যাপাড়া, ডুবারপাড়, চরগোকপুর, মোকামিয়ার লোকজন পানিবন্দী হওয়ায় সঙ্কাটাপন্ন অবস্থা দেখা গেছে। এদিকে হালুয়াঘাটের পূর্ব-দক্ষিণাংশের খন্দকপাড়া, পূর্ব কালিয়ানিকান্দা, কাওয়ালীজান, উত্তর গোপীনগর, দক্ষিণ গোপীনগর, মহাজনীকান্দা, বটগাাছিয়াকান্দা, বাদশা বাজার, খরমা, বাদে খরমা, খামারবাসা, আলিশাহ বাজার, বোর্ড বাজার, চায়নামোড়, আতুয়াজঙ্গল, জৈনাটি, দারিয়াকান্দা, পলাশকান্দা, জামবিল ও তার আশপাশের গ্রামগুলো এবং শাকুয়াই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বন্যা পরিস্থিতি এখনো স্থিতিশীল রয়েছে।

এদিকে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উদ্ধারকার্যক্রম এখনো পরিচালনা করছে। এসব এলাকার সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উঁচু ভবন আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে মানুষ।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আফজাল এইচ খান ও সালমান ওমর রুবল বন্যার্তদের মাঝে পৃথকভাবে রান্না করা খাবার দিয়েছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির আব্দুল করিমের নেতৃত্বেও হালুয়াঘাটের বিভিন্ন গ্রামে রান্নাকরা খাবার ও শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement