ধোবাউড়া উপজেলায় আকস্মিক বন্যা
- ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা
- ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৫৯
ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধোবাউড়া উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ঘোষগাঁও, দক্ষিণ মাইজপাড়া, গামারীতলা, বাঘবেড়সহ সাতটি ইউনিয়নের সবগুলোই প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের প্রবল বৃষ্টিতে নেতাই নদীর পানির প্রবাহ বিপৎসীমার ওপরে পৌঁছে যায়। পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতে ঘোষগাঁও ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামে নেতাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। উপজেলার বিভিন্ন সড়কে পানি উঠে গেছে।
ধোবাউড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওয়ারিছ মেম্বার জানান, ‘এর আগে কোনোদিন ধোবাউড়া-হালুয়াঘাট সড়কের উত্তর পাশে এত পানি হয়নি। এবার মানুষের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, পুকুরগুলো ডুবে কোটি কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। এলাকার মানুষ গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে। খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মানুষ চিড়া-মুড়ি খেয়ে টিকে আছে।’
গাঙ্গেরবেড়া গ্রামের প্রমিলা হাসদাগ বলেন, ‘ঘর থেকে বের হলেই হাঁটু পানি, রান্না করার কোনো ব্যবস্থা নেই।’
ঘোষগাঁও ইউনিয়নের ফরহাদ আল রাজী জানান, ‘মানুষের ঘর-বাড়িতে পানি উঠায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো সহায়তা পৌঁছেনি।’
উপজেলা কৃষি অফিসার গোলাম সরওয়ার তুষার বলেন, ‘৩৮৫০হেক্টর জমির রোপা আমন ও ৩০০ হেক্টর জমির সব্জির জমি পানির নিচে। যদি দুই-এক দিনের মধ্যে পানি সরে যায় তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। না হলে ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত শারমীন বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছি, ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করছি। পানিবন্দী মানুষদের রেসকিউ করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে বলেছি। আগামীকাল থেকে আমরা ত্রাণ সহায়তা দিতে পারব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা