সমকামিতা ‘প্রমোটকারী’দের শিক্ষা কমিশন থেকে বাদ দিন : মামুনুল হক
- খাদেমুল বাবুল, জামালপুর
- ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:০৫
শিক্ষা কমিশনের সদস্যদের মধ্যে সমকামিতায় উৎসাহ দেয়া ব্যক্তিও রয়েছেন মন্তব্য করে তাদেরকে বাদ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক।
তিনি বলেন, ‘সরকারকে বলতে চাই, শিক্ষা কমিশনে যারা সমকামিতার প্রমোটকারী (উৎসাহ দেয়া ব্যক্তি) রয়েছে তাদেরকে কমিশন থেকে বাদ দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জামালপুরের সিংহজানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জামালপুর জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি ইসলামী শিক্ষাবিদ, আলেমদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান। ‘এটা আমাদের অনুরোধ নয়, আমাদের অধিকারের কথা বলছি,’ বলেন তিনি।
মামুনুল হক বলেন, ‘আজ জেলা শহরের মঞ্চ থেকে বলছি, কয়েক দিন পর ঢাকা থেকে বলবো। পরে শাপলা চত্বরে যাব। এরপরও যদি আমাদের কথায় কর্ণপাত করা না হয় তাহলে গণভবন ও বঙ্গভবনে যাব।’
বিগত সরকার সেসব আইন পাস করেছে সেখানে কোথায় কোথায় কোরআনবিরোধী ধারা রয়েছে সেগুলো সংশোধনের উদ্যোগ নেয়ার দাবিও জানান তিনি। বলেন, ‘নতুন করে যদি ইসলামবিরোধী, কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো ধারা আইনে যুক্ত করার চেষ্টা করা হয় তাহলে শাপলা চত্বরে নতুন কারবালা হবে।’
মামুনুল হক বলেন, ‘বন্ধুত্বের জন্য আমরা অনেকের দিকে হাত বাড়াতে পারি, কিন্তু কেউ যদি প্রভুত্বের দৃষ্টি দেয়, আমরা সে চোখ উপড়ে ফেলতে প্রস্তুত আছি। বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে শুধুমাত্র আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য, বাংলাদেশকে নিজেদের দেশের করায়ত্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে প্রতিবেশী দেশের দাদাবাবুরা। এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, সার্বভৌমত্বের অধিকারে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল তারা।’
তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদিরা তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তাদের একতরফা আশ্রয়-প্রশ্রয়ের সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।’
‘একটি পরিবার শুধু ভারতের স্বার্থ রক্ষার জন্য এদেশের মানুষের অধিকারকে, চাওয়া-পাওয়াকে, ভোটের অধিকারকে তারা তাদের দু’পায়ে পিষ্ট করেছে। বাংলাদেশে স্বাধীন প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায়নি ভারত। তারা বসাতে চেয়েছিল একজন মুখ্যমন্ত্রী,’ বলেন তিনি।
শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের দাবি এবং নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জামালপুর জেলা শাখা এই গণসমাবেশের আয়োজন করে।
জেলা শাখার আহ্বায়ক মাওলানা মুহাম্মদ আলী খানের সভাপতিত্বে এ সময় গণসমাবেশে আরো বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের আলেম ও নেতারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা