০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১,
`

‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানটি একক কোনো ব্যান্ডের নয়

‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানটি একক কোনো ব্যান্ডের নয় - ছবি : সংগৃহীত

‘যুবতী রাধে’ শিরোনামের একটি গান নিজেদের নামে কপিরাইট করেছিল ব্যান্ড সরলপুর। তাদের সেই কপিরাইট বাতিল করেছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস। এখন থেকে যে কেউ চাইলে পরিবেশন করতে পারবে গানটি।

মূলত পার্থ বড়ুয়ার সংগীতায়োজনে চঞ্চল চৌধুরী ও শাওন নতুন করে ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ শিরোনামে গানটি গাইলে এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে কপিরাইট অফিস। বাংলা একাডেমি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগে চিঠি দেয় তারা। তদন্তে প্রমাণ হয়েছে ব্যান্ড ‘সরলপুর’-এর দাবির পুরোপুরি সত্যতা নেই। কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অঙ্গীকারনামায় যুবতী রাধে গানটি মৌলিক হিসেবে দাবী করে অসত্য তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে কপিরাইট আইনের ৮৮ ও ৮৯ ধারা লঙ্ঘন করার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাই সরলপুর ব্যান্ডের অনুকূলে রেজিস্ট্রেশনকৃত যুবতী রাধে গানটির কপিরাইট সনদ বাতিল করা হলো।

২০২০ সালে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় ও পার্থ বড়ুয়ায় সংগীত পরিচালনায় ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ প্রকাশের পর তাদের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে সরলপুর ব্যান্ড। তাদের অভিযোগ ছিল, ২০১৮ সালে সরলপুর ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ভোকাল ও গিটারিস্ট তারিকুল ইসলাম তপনকে ‘যুবতী রাধে’ গানের গীতিকার ও সুরকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে কপিরাইট অফিস। সেই গানের কথা ও সুর হুবহু রেখে সরলপুরের অনুমতি ছাড়াই ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ শিরোনামে গানটি প্রকাশ করেছে আইপিডিসি।

কপিরাইট রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, ‘বিমল কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘বাংলার গ্রাম’ নামের ছড়ার বই থেকে এই গানের ৩২ লাইনের ১৬টি লাইন নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৯৬২ সালে কলকাতায় প্রকাশিত আশুতোষ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার লোকসাহিত্য’ থেকে নেওয়া হয়েছে আরও ৪টি লাইন। বাকি ১২টি লাইন হয়তো সরলপুর লিখেছে কিন্তু কপিরাইট আবেদনের সময় তারা বিষয়টি গোপন রাখে। তাদের বিরুদ্ধে অর্থদণ্ড ও জেলের বিধানও ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে যেহেতু কেউ দাবি জানায়নি, তাই আমরা বিধান দিতে পারি না। এখন থেকে যে কেউ গানটি গাইতে পারবেন ও পরিবেশন করতে পারবেন।’

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘সত্যের জয় হয়েছে। তাদের উচিত ছিল আরো আগেই সত্যটা প্রকাশ করা।’


আরো সংবাদ



premium cement