০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ২ শাবান ১৪৪৬
`

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ২০ বাংলা গানের তালিকায় শাহনাজ রহমতউল্লাহর ৩ গান

সঙ্গীত
শাহনাজ রহমত উল্লাহ - ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গীত ভুবনের উজ্জ্বল নক্ষত্র শাহনাজ রহমতউল্লাহ আর আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু এদেশের সঙ্গীতে তার অবদান উজ্জ্বল হয়েই থাকবে।

জয় বাংলা বাংলার জয়, আমি তো আমার গল্প বলেছি তুমি কেন কাঁদলে, যে ছিলো দৃষ্টির সীমানায় - এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহ খ্যাতি পেতে শুরু করেছিলেন ষাটের দশকে শিশু বয়সেই।

জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নায়ক ও বরেণ্য সুরকার আনোয়ার পারভেজের বোন আর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আলতাফ মাহমুদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ হবার সুবাদে শিশু বয়সেই গানের জগতে জায়গা করে নেন শিল্পী শাহনাজরহমত উল্লাহ, যার ডাক নাম শাহীন।

যিনি গান শুরু করেছিলেন মায়ের অনুপ্রেরণায়।

তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ দেশের আরেক বরেণ্য গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলছেন ষাটের দশকেই চলচ্চিত্র, টেলিভিশন এবং গ্রামোফোন রেকর্ডেও সমানভাবে জায়গা করে নিয়েছিলেন কিছুটা ব্যতিক্রমী কণ্ঠের শাহনাজ রহমতউল্লাহ।

১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করা এ শিল্পী দশ বছর বয়স থেকেই গান শুরু করেন। খেলাঘর থেকে শুরু করা এ শিল্পীর কণ্ঠ শুরু থেকেই ছিল বেশ পরিণত। গজল সম্রাট মেহদী হাসানের শিষ্য হয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু শাহনাজ রহমতউল্লাহ খুব অল্প বয়সে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন কি করে ।

এমন প্রশ্নের জবাবে মাজহারুল আনোয়ার বলেন, সুরের সাথে একটা শাস্ত্রীয় কাজ থাকতো তার। গলার ঢং ছিলো রেওয়াজি। এটিই তাকে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিলো।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের মুহূর্তে শাহনাজ রহমতউল্লাহর কণ্ঠেই ধ্বনিত হয়েছিলো জয় বাংলা - বাংলার জয় গানটি।

এ গানটিসহ শাহনাজ রহমতউল্লাহর গাওয়া তিনটি গান ঠাঁই পেয়েছিলো বিবিসির শ্রোতাদের ভোটে মনোনীত সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিশটি বাংলা গানের তালিকাতেও।

আবার গাজী মাজহারুল আনোয়ারেরই লেখা এবং শাহনাজ রহমতউল্লাহর গাওয়া গান ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি তাদের দলীয় সংগীত হিসেবে বেছে নিলে কিছুটা বিতর্কের মধ্যেও পড়ে যান তিনি।

তবে মাজহারুল আনোয়ার বলছেন, এটি অর্থহীন বিতর্ক। কারণ তার মতে, গীতিকার, সুরকার বা শিল্পীর এ ক্ষেত্রে করণীয় কিছু নেই।

ষাটের দশকে তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনের ঢাকা কেন্দ্রের শুরুর দিকেই প্রযোজক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মোস্তফা কামাল সৈয়দ, তার অনুষ্ঠানেই শাহনাজ রহমত উল্লাহ অনেকগুলো কালজয়ী গান গেয়ে অগণিত মানুষের মন জয় করেছেন।

পুরনোদের পাশাপাশি শাহনাজ রহমতউল্লাহ প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন পরবর্তীকালে উঠে আসা শিল্পীদের কাছেও।

বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় শিল্পীদের একজন কুমার বিশ্বজিৎ বলছেন, অপূর্ব কণ্ঠ দিয়ে আর গায়কী ঢং দিয়েই তিনি কয়েকটি প্রজন্মকে একই সূত্রে গেঁথেছেন।

১৯৮২ সালে গানের জগতে আসা কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, অসাধারণ মানবিক গুণাবলীর জন্যই পরবর্তীকালের শিল্পীদের কাছেও প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।

তবে কুমার বিশ্বজিৎ, মোস্তফা কামাল সৈয়দ ও গাজী মাজহারুল আনোয়ার তিনজনই মনে করেন মেধা, পরিশ্রম, আর কণ্ঠ দিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পেলেও যথাযথ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়ার অভিমানেই শেষ দিকে এসে গানের জগত থেকে নিজেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে নেন শাহনাজ রহমতউল্লাহ।

১৯৯২ সালে একুশে পদক পাওয়া শাহনাজ রহমতউল্লাহর স্বামী, এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তান রয়েছেন।

তথ্যসূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে চেয়ারম্যান পদে যোগ দিলেন অনুপ কুমার চাকমা ফুলবাড়ীতে ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩ আ.লীগ পুনর্বাসনে উঠে পড়ে লেগেছে মিডিয়া ও আমলারা : হাসনাত আব্দুল্লাহ স্ত্রী সন্তানসহ শাহজাহান খানের বিরূদ্ধে দুদকের ৩ মামলা সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকসহ ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রায়গঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত লেবুর লাশ উত্তোলন স্বর্ণের ভরি কি ২ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে দুইজনের যাবজ্জীবন, সাবেক এমপিসহ ১০ জন খালাস বরেণ্য শিক্ষাবিদ আব্দুস ছাত্তার সরকারের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু পুঁজিবাজারে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে জাবিতে আমৃত্যু গণঅনশন

সকল