নয়া বস্ত্র নীতিমালায় পোশাক খাতে হয়রানি বাড়বে
- ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
নতুন বস্ত্রনীতিমালায় পোশাক খাতের হয়রানি বাড়বে বলে মনে করেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান পরিচালক- ফজলে শামীম এহসান। তিনি এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, নতুন বস্ত্রবিধি ও পরিদর্শন নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে, এতে পোশাক রফতানিকারকদের ভোগান্তি আরো বাড়বে।
সাধারনত সংশ্লিøষ্ট মন্ত্রণালয়, আইন বা বিধি প্রণয়নের সময় বিভিন্ন পক্ষের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে, তাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রাথমিক খসড়া তৈরি করে। কিন্তু এখানে এটা করা হয়নি।
তিনি মনে করেন, এ নীতিমালা হবে, সরকারি কোনো কাজের পুনরাবৃত্তি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যবসা সহজইকরণ নীতিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। কারণ বস্ত্রবিধি ও পরিদর্শন নির্দেশিকাতে আমরা যা দেখতে পাচ্ছি, তাতে অন্যান্য মন্ত্রাণলয় ও অধিদফতরের কাজও এখানে পুনরায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। উপরন্ত কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন ছাড়া কাগজ চাওয়া হয়েছে, যা ব্যবসাতে শুধু ব্যয় বৃদ্ধি করবে।
তিনি বলেন, ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদানের বিষয়ে কোনো প্রকার সমাধান না করে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শুধুই ‘সুপারিশ’ করার কথা বলা হয়েছে, যা আসলে ব্যবসার গতিরোধ করবে এবং খরচ বাড়াবে। তিনি মনে করেন, একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সার্ভিস নেয়ার জন্য অন্য আরেকটি সংস্থার ‘সুপারিশ’ নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই এবং এই সুপারিশ ছাড়াই রফতানিমুখী পোশাকশিল্প আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে। এ ছাড়া বিধিতে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল সিস্টেম এবং দুর্নীতিমুক্ত অফিস গড়ার কোনো সঠিক দিকনির্দেশনাও নেই।
তিনি মনে করেন, আমাদের সবারই প্রয়োজন ছাড়া ক্ষমতা ব্যবহারের মানসিকতা থেকে বের হয়ে, সরকার, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য সবার সমন্বয়ে কিভাবে রফতানিমুখী পোশাকশিল্প ও বস্ত্রশিল্পের সত্যিকারের উন্নতি করা যায়, সে দিকে লক্ষ্য করতে হবে।
সৌজন্যে-বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান পরিচালক- ফজলে শামীম এহসান।