০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১, ১ শাবান ১৪৪৬
`

নারী ক্ষমতায়নে রাষ্ট্র ও ব্যাংক

-

আধুনিক বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়ন একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। সম্প্রতি দেশের ৪৮তম বিজয় দিবস আমরা উদ্যাপন করলাম। খেলার মাঠ থেকে এভারেস্ট সর্বত্র বিজয় নিশান উড়াচ্ছেন এখন বাংলাদেশের নারী। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ২০১৮ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী লিঙ্গ সমতা সূচকে বাংলাদেশ তালিকায় দ্বিতীয়। বর্তমানে কৃষি, সেবা ও শিল্পখাতে কাজ করছেন এ দেশের দুই কোটি নারী। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ষষ্ঠ। বর্তমানে রাষ্ট্র পরিচালনাসহ বিচারপতি, সচিব, শিক্ষাবিদ, ব্যাংকার, রাষ্ট্রদূত, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, থানার ওসি, শিল্পপতি, উদ্যোক্তা, মানবাধিকার কমিশন সর্বক্ষেত্রে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন নারী। নারী শিক্ষার উন্নয়ন এবং ব্যবসায়িক উদ্যোগে অবদান রাখায় বাংলাদেশ সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসঙ্ঘের ‘ঘধঃরড়হ খবধফবৎংযরঢ় অধিৎফ’, জাতিসঙ্ঘের ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত হয়েছেন।
নারীর ক্ষমতায়ন, নারী নির্যাতন বন্ধ, নারী পাচার প্রতিরোধ, কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা বিধান এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল স্রোতধারায় নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ নারীর সামগ্রিক আর্থসামাজিক উন্নয়নে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ তিনটি সংস্থা মহিলাবিষয়ক অধিদফতর, জাতীয় মহিলা সংস্থা ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। মহিলাবিষয়ক অধিদফতর দেশের ৬৪টি জেলা ও ৪১২টি উপজেলা এবং জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক ৬৪টি জেলা ও ৮৪টি উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন করে চলেছে। জাতীয় নেতৃত্বে জেন্ডার সমতা বিধানের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় সরকার পর্যায়ে নারীর ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে নারীকে জ্ঞানী-স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য ব্যাপক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
গত দশ বছরে নারীর ক্ষমতায়নে আইন-নীতি ও বিধিমালা তৈরি করা হয়। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন-২০১০, ডিএনএ আইন-২০১৪, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) বিধিমালা-২০১৩, এষড়নধষ এবহফবৎ এধঢ় জবঢ়ড়ৎ ঃ-২০১৩ অনুযায়ী নারীর ক্ষমতায়নে ১৪৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭২তম, যা দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো দেশের চেয়ে শ্রেয়। নারীর ক্ষমতায়নে তাদের জন্য সুচিন্তিতভাবে, প্রয়োজনমাফিক কাজের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়Ñ ১.মাতৃত্বকালীন ছুটি তিন মাস থেকে ছয় মাস করা হয়েছে; ২.ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে তথ্য আপা, নারী উদ্যোক্তা নিশ্চিত করা হয়েছে; ৩. অতি দরিদ্র মহিলাদের জন্য বৃত্তিমূলক প্রায়োগিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে; ৪.নারীবান্ধব বিপণন নেটওয়ার্ক জয়িতা গড়ে তোলা হয়েছে; ৫. দেশব্যাপী প্রায় ১৩ হাজার পল্লী মাতৃস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে; ৬.ইনকাম জেনারেটিং প্রোগ্রামে ড্রাইভিং, কম্পিউটারসহ ১৮টি ট্রেডে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে; ৭.প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে; ৮.ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে মহিলা ও শিশু কার্ডিয়াক বিভাগ স্থাপন করা হয়েছে; ৯.ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস (ওডিসি) স্থাপন করা হয়েছে।
প্রান্তিক, সুবিধাবঞ্চিত ও অনগ্রসর নারীদের সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, নির্যাতন প্রতিরোধ ও পুনর্বাসন প্রকল্প চালু করা হয়। এর মধ্যে জেলাভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে; জাতীয় মহিলা সংস্থার কার্যালয়ে ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল’ চালু করা হয়েছে; প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে স্বকর্ম সহায়ক ঋণ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে; সর্বোপরি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন কার্যক্রম যেমনÑ দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা, দুস্থ মহিলা ও শিশু সাহায্য তহবিল, মহিলা সহায়তা কেন্দ্র, চাকরি বিনিয়োগ তথ্য কেন্দ্র, বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র (অঙ্গনা), নারী উদ্যোক্তা প্রয়াস, ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট ফর আল্ট্রা পুওর (ভিজিডিইউপি), খাদ্য নিরাপত্তাহীন দরিদ্র মহিলাদের উন্নয়ন (ভিজিডি), কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল প্রতিষ্ঠা, সেলাই মেশিন বিতরণ ও বিধবা ভাতা কার্যক্রম সামগ্রিকভাবে নারী উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছে।
নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি ও ক্ষমতায়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক অর্থায়ন ব্যবস্থায় অধিকতর প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে ব্যাংকিং সেক্টরে নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষত নতুন নারী উদ্যোক্তাদের অনুকূলে ঋণের প্রবৃদ্ধি ও উদ্যোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকও নানাবিধ পদক্ষেপ ও কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। যথা- (১) সব ব্যাংক/নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শাখার আওতাধীন এলাকায় ন্যূনতম তিনজন উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহী নারী কিংবা নারী উদ্যোক্তাকে খুঁজে বের করতে হবে যারা ইতঃপূর্বে কোনো ব্যাংক বা নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো প্রকার ঋণ গ্রহণ করেননি। তবে এ সংখ্যা আরো বেশি হলে ব্যাংক প্রশংসিত হবে। (২) নির্বাচিত নারী উদ্যোক্তাদের তাদের পছন্দ অনুযায়ী শিল্প/সেবা/ব্যবসা কার্যক্রম নির্বাচন, মূলধন সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায় পরিচালনা, উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বা সেবা বাজারজাতকরণ, ব্যাংক হিসাব খোলা ও লেনদেনের পদ্ধতিসহ সার্বিক বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির (ঈধঢ়ধপরঃু ইঁরষফরহম) লক্ষ্যে ব্যাংক/নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজ উদ্যোগে প্রধান শাখা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রয়োজনে বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন, মহিলাবিষয়ক অধিদফতর, জাতীয় মহিলা সংস্থা, যুব উন্নয়ন অধিদফতর, ঝসধষষ ধহফ ঈড়ঃঃধমব ওহফঁংঃৎরবং ঞৎধরহরহম ওহংঃরঃঁঃব (ঝঈওঞও), বিভিন্ন ব্যবসায়িক চেম্বার/অ্যাসোসিয়েশন, নারী উদ্যোক্তা চেম্বার/অ্যাসোসিয়েশনসহ অনুরূপ সংস্থার সহায়তা গ্রহণ করে যৌথভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে (বিবি:এসএমইএসপিডি সার্কুলার নং-২)।
বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডাসহ মিলেনিয়াম উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার একটি অন্যতম ক্ষেত্র হলোÑ নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি ও ক্ষমতায়ন। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন আরো বেগবান করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক নবগঠিত ‘নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন ইউনিট’ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নারী উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সেবা প্রদান, ক্ষুদ্র ও কুটির স্তরের নারী উদ্যোক্তাদের শিল্প ও সেবা খাতে অগ্রাধিকারভিত্তিক ঋণ বিতরণে উদ্যোগী ভূমিকা পালন, প্রমোশনাল কার্যক্রমের মাধ্যমে নতুন নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি, এসএমই ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি এবং তা অর্জন, নারী উদ্যোক্তাদের ক্লাস্টার খুঁজে বের করে তাদের ঋণ কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্তিসহ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে সুচারুরূপে এবং অধিকতর গুরুত্ব সহকারে সম্পাদনের লক্ষ্যে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়সহ আঞ্চলিক কার্যালয়ে (যদি থাকে) একটি ‘নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন ইউনিট’ (ডড়সবহ ঊহঃৎবঢ়ৎবহবঁৎ উবাবষড়ঢ়সবহঃ টহরঃ) গঠন করা হয়েছে। (বিবি:এসএমইএসপিডি সার্কুলার নং-১)। তথাপি, ২০১০ সাল থেকে দেশের নারীদের আর্থিক অবস্থা সুসংহত করার লক্ষ্যে ক্ষুদ্র শিল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক তার এসএমই পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় নারী উদ্যোক্তাদের একক বা গ্রুপ ভিত্তিক ১০ শতাংশ সহজ সুদ হারে সর্বনি¤œ ৫০ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করে আসছে। (বিবি:এসএমইএসপিডি লেটার সার্কুলার নং-০৫)। এসএমই খাতের পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ১৫ শতাংশ অর্থ কেবলমাত্র নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে ২০১৭-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নারী উদ্যোক্তা খাতে ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় নারী উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল প্রায় চার লাখ। নতুন নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া, বর্গাচাষিদের জন্য যে ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম চালু করা হয়েছে তাদের মধ্যেও একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী বর্গাচাষি রয়েছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘ঞযব অহহঁধষ ইধহশরহম ঈড়হভবৎবহপব, ২০১৮’ এ ক্ষেত্রে ‘ডড়সবহ ঊহঃৎবঢ়ৎবহবঁৎংযরঢ় চৎড়ফঁপঃং ড়ভ ইধহশং রহ ইধহমষধফবংয’ শীর্ষক একটি প্রকাশনা আমাদের হাতে এসেছে। বাংলাদেশের এসএমই শিল্প খাতকে অধিকতর আর্থিক সেবা প্রদানের জন্য এসএমই খাতের প্রয়োজন অনুযায়ী নানা ধরনের ব্যাংকিং প্রোডাক্ট তৈরি করে রিলেশনশিপ ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দ্রুততার সাথে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হচ্ছে। দেশের ব্যাংকগুলো আগে প্রচলিত মডেলের বড় গ্রাহককেন্দ্রিক ব্যবসায় বেশি মনোযোগী ছিল। বতর্মানে এ মনোযোগ এসএমই ও কৃষির দিকে ঘনীভূত হয়েছে। আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণ, অন্যান্য ব্যাংকিং সেবাÑ সবক্ষেত্রেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি গ্রাহকদের বিশেষ করে সমাজের পিছিয়েপড়া নারীদের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত করতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এটি এক দিকে যেমন ব্যাংকের ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়ক হচ্ছে, অন্য দিকে ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেবা দিয়ে অর্থনীতিতে অবদান রাখছে দেশের ব্যাংক-ব্যবস্থায়। শহরে-গ্রামে সবখানে কৃষি, এসএমইতে নারীদের অন্তর্ভুক্তিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সারা দেশের মানুষের ব্যাংক হতে চাইছে দেশের ব্যাংক-ব্যবস্থা। এবি ব্যাংকের অপরাজিতা, আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের উইমেন এন্টারপ্রিনিউরস, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের রুরাল অ্যান্ড মাইক্রো ক্রেডিট প্রোডাক্টস (উইমেন ডেভেলপমেন্ট) অব বিকেবি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের বিসিবি কল্যাণী, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের নীলিমা ও সুবর্ণ, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের তারা, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ডিবিএল অদ্বিতীয়া লোন, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সাফল্য ও উৎসাহ, এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিম দূরদর্শিনী, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ইবিএল মুক্তি লোন, যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের যমুনা নারী উদ্যোগ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের ইউসিবি জয়তী ও দীপ্তি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য নারী প্রোডাক্ট।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। এই এগিয়ে চলা শিক্ষিত, অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত কৃষক, গার্মেন্ট কর্মী, ব্যাংকার, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও সর্বস্তরের পেশাজীবী এবং শ্রমিকদের মধ্যে একটি বড় অংশ নারীদের হাত ধরে। বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পারে। লন্ডনের ‘দ্য গার্ডিয়ান’ লিখেছে, ২০৫০ সালে প্রবৃদ্ধির বিচারে বাংলাদেশ পশ্চিমা দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) হিসেবে বাংলাদেশের ৬৬ শতাংশ মানুষ এখন কর্মক্ষম।
লেখক : জিএম, ডিসিপি, প্র.কা.বাংলাদেশ ব্যাংক

 


আরো সংবাদ



premium cement
সুনামগঞ্জে ১৭ বছর পর স্বাধীনভাবে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত আজ থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সাথে সংঘাতে ৫ দিনে নিহত ৭০০ সুস্থ হয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে দুবাই ছেড়েছেন বাবর ঘন কুয়াশায় ফেরি বন্ধের সুযোগে চলে ট্রলার, ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পার টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই বাংলাদেশ টঙ্গী ইজতেমায় আরো এক মুসল্লির মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে ২ দিনের ব্যবধানে আবারো বিমান দুর্ঘটনা, ৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা টানা শৈত্যপ্রবাহে থমকে গেছে কুড়িগ্রামের শ্রমজীবীদের জনজীবন দুই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ, অপেক্ষায় ৫ শতাধিক যানবাহন কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেফতার

সকল