২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কোন্নয়ন প্রচেষ্টায় নজর ভারতের

-

বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখতে চায় বলে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেনের এ বক্তব্যের সমালোচনা করেছে ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া দ্য হিন্দু। কয়েকদিন আগে বিবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভারতের সাথে জড়িত ত্রিদেশীয় সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা; কিন্তু হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য পাকিস্তান সম্পর্কে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা প্রদান করে।
ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ১৯৭১ সালে জন্মের পর থেকে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের একটি জটিল সম্পর্ক রয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের একটি বৈরী সম্পর্ক ছিল এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ইসলামাবাদের সমর্থন উপভোগ করার জন্য অভিযুক্ত করতেন। তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং শেখ হাসিনা প্রায়ই তার সমর্থন ভিত্তি জোরালো করার জন্য সেই সংগ্রামকে তুলে ধরেন। শেখ হাসিনার এই মনোভাবের কারণে, বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং পাকিস্তান হাইকমিশনের মধ্যে বৈঠক বিগত ১৬ বছরে একটি বিরল ঘটনা ছিল; কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর তা বদলে গেছে।

মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন বিবিসি বাংলাকে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঠাণ্ডা ছিল। সেই পর্ব থেকে বেরিয়ে আসতে চায় পাকিস্তান। আমরা পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও যতটা সম্ভব এগিয়ে যেতে চাই। পাকিস্তানের সাথে আমাদের কয়েকটি বিষয় রয়েছে যেগুলো নিয়ে আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে। আমরা একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই যেখানে পাকিস্তান তার স্বার্থ দেখবে এবং আমরা আমাদের স্বার্থ দেখব।’
তিনি ২ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে সমর্থন করে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের সাথে শত্রুতা করে লাভ নেই।’ হাসিনা সরকারের পতনের পর, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে যোগাযোগ করেন এবং আরো কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করেন।
দ্য হিন্দুর এ প্রতিবেদনে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টার সাথে বৈঠকের কথা তুলে ধরা হয়েছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু ও জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে নিউ ইয়র্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সাথে প্রধান উপদেষ্টার দেখা করার সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement