১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

কঙ্গোতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানে জড়িত বিদেশীসহ ৩৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

-

দেশের প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স টিশিসেকেদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার সরকারি বাসভবনে হামলার অভিযোগে ৩৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ডি আর কঙ্গো। দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩১ জন কঙ্গোর এবং তিনজন যুক্তরাষ্ট্রের, একজন যুক্তরাজ্যের, একজন বেলজিয়ামের এবং একজন কানাডার নাগরিক। অবশ্য যে চার দেশের ছয় নাগরিককে দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ব্যতীত সবাই কঙ্গোলিজ বংশোদ্ভূত। হামলার পরিকল্পনা এবং নেতৃত্ব যিনি দিয়েছিলেন, সেই ক্রিস্টিয়ান মালাঙ্গা ও কঙ্গো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সেখানে নাগরিকত্ব অর্জন করেছিলেন।আলজাজিরা
গত মে মাসে ক্রিস্টিয়ান মালাঙ্গার নেতৃত্বে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে হামলা হয়েছিল। হামলার সময় নিরাপত্তাবাহিনী ও সেনাসদস্যদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মালাঙ্গা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে মোট ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ- সেনা, যৌথবাহিনী। সামরিক আদালতে প্রায় সাড়ে তিন মাস বিচার চলার পর শুক্রবার ৩৭ জনকে ফাঁসি এবং বাকি ১৪ জনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের মধ্যে ক্রিস্টিয়ান মালাঙ্গার ছেলে মার্সেল মালাঙ্গাও (২০) রয়েছেন। তিনি অবশ্য বিচারের সময় বলেছিলেন যে, তিনি বাধ্য হয়ে এই হামলায় অংশ নিয়েছিলেন। কারণ তার বাবা ক্রিস্টিয়ান তাকে হুমকি দিয়েছিলেন যে, হামলায় অংশ না নিলে তিনি মার্সেলকে হত্যা করবেন। দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের মধ্যে একমাত্র আসামি টেইলর থম্পসন, যিনি খাঁটি মার্কিন নাগরিক। ২০ বছর বয়সী টেইলর তার বন্ধু মার্সেলের সাথে কঙ্গোতে এসেছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা যদি চান, তাহলে রায় বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। সে জন্য তাদেরকে পাঁচ দিন সময় দিয়েছেন সামরিক আদালত।
রায় ঘোষণার পর টেইলর থম্পসনের মা মিরান্ডা থম্পসন বিবিসিকে বলেন, ‘আমি বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত। আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা এখনো বুঝে উঠতে পারছি না যে, এমন একটি ঘটনায় কিভাবে আমার ছেলে যুক্ত হলো।’ প্রসঙ্গত, কঙ্গোর আইন ও দণ্ডবিধিতে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ নয়। তবে দেশটির বিচারব্যবস্থা এই দণ্ডপ্রদানকে সবসময় নিরুৎসাহিত করে। প্রায় দুই দশক পর এই প্রথম মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করলেন কঙ্গোর কোনো আদালত।


আরো সংবাদ



premium cement
তারুণ্যের উৎসব : ফেনী কলেজে দায়সারা আয়োজনে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ সুনামগঞ্জে তরুণকে হত্যার মামলায় আসামি গ্রেফতার প্রসঙ্গ : স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার বিপিএলের নতুন ধারণার প্রশংসা করেছেন ভক্তরা আধিপত্যবাদ উৎখাতেই সংহত হবে স্বাধীনতা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’সহ সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তনের সুপারিশ ‘অজ্ঞতানামা আসামি’ করার চর্চা বন্ধের প্রস্তাব পুলিশ সংস্কার কমিশনের শিল্প খাত বিকাশে পরিবেশ চাই যুদ্ধবিরতি চুক্তি ব্যর্থ হলে কঠোর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন নেতানিয়াহু কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির রফিকুল আমীন নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশের পর নেসকোর ৩ কর্মকর্তাকে বদলি

সকল