বিআরআইসিএমের ডিজি মালা খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮, আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭
মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার ও মহাপরিচালক (অতি: দা:) মালা খানের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিআরআইসিএম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তারা।
কর্মকর্তা মালা খানের কার্যালয়ে গোপন কক্ষ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদও প্রচার হয়েছে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই প্রতিষ্ঠানটির এই ডিজির ডিগ্রি জালিয়াতি, কাজের অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন গবেষণায় দুর্নীতি ও অফিস সিন্ডিকেট করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান। এ সময় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে মনিরুজ্জামান অভিযোগ করেন, মালা খান আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ভুয়া ডিগ্রি নিয়েছিলেন। এ ছাড়াও বিআরআইসিএমের প্রধান হওয়ার জন্য ১৪ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার যে নিয়ম তা মালা খানের ছিল না। তার প্রথম শ্রেণীর বিজ্ঞান গবেষণামূলক চাকরির অভিজ্ঞতা ছিল ৮ বছর ৭ মাস। এর মধ্যে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে তার ছয় বছর এবং ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে ২ বছর ৭ মাস অভিজ্ঞতা ছিল। পাশাপাশি নিবন্ধনহীন একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্রী হয়েও রসায়ন বিষয়ে তার পিএইচডি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রশ্ন তুলেছে।
এসব অভিযোগ ছাড়াও মালা খানের স্বামী মোস্তফা আনোয়ার এবং তার মেয়ের নামে বিপুল অর্থ গড়ে তোলার অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। পাশাপাশি মালা খান কয়েকটি প্রাইভেট ব্যাংকে ২০ কোটি টাকা গচ্ছিত রেখেছেন বলেও দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মালা খানের গোপন কক্ষের ভিডিও নিয়ে বলা হয়, এই কক্ষটি আগে থেকেই ছিল। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভয়ে কোনো কিছু বলতেন না। সরকার পতন হয়েছে। ফলে এখন তারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মালা খানকে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে অভিযোগের সুস্থ তদন্ত দাবি করেন। একইসাথে তার বিরুদ্ধে চলমান মামলার কার্যক্রম আবার শুরু করে প্রমাণ সাপেক্ষে রায় দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি করেন তারা।