১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

গাজীপুরে ২৫ কারখানায় ছুটি ঘোষণা

-

গাজীপুরের শিল্প এলাকাগুলোতে গতকাল মঙ্গলবারও বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা। এদিন জেলার টঙ্গী, জয়দেবপুর ও শ্রীপুর উপজেলায় কারখানা ভাঙচুর ও মহাসড়ক অবরোধ করে নানা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৫টি কারখানায় একদিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের আন্দোলন শুরু হয়। দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে গাজীপুরের টঙ্গীতে ১৩ দফা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করে এমট্রানেট গ্রুপ কারখানার শ্রমিকরা। তাদের সাথে আন্দোলনে অংশ নেয় পিনাকি গ্রুপ, ড্রেসম্যান ও নোমান গ্রুপের শ্রমিকরা। এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শ্রমিক অংশ নেয়। পরে বেলা আড়াইটার দিকে কারখানাকর্তৃপক্ষ, পুলিশ আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সাথে বৈঠক করে তাদের দাবি মেনে নেন।
টঙ্গীর এমট্রানেট গ্রুপের শ্রমিক মো: রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের দাবিগুলো কয়েক বছর ধরে মৌখিক ও লিখিতভাবে উপস্থাপন করে আসছি। মঙ্গলবার সকালে আমরা পাঁচটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা একত্রে মিলে আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন করছি।
অপর দিকে গতকাল সকালে গাজীপুরের শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার মেঘনা গ্রুপের হাইফ্যাশন কারখানার শ্রমিকরা ১৪ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। এসময় পার্শ্ববর্তী হাউ আর ইউ টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকদের বের করে আনতে গেলে হামলার শিকার হয় হাইফ্যাশনের শ্রমিকরা। এসময় উত্তেজিত শ্রমিকরা হাউ আর ইউ টেক্সটাইলে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।
এদিকে, জেলার জয়দেবপুর থানার নতুন বাজার এলাকার এসএম নিটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় কারখানা প্রবেশ করে হাজিরা বোনাসসহ ১০ দফা বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়। পরবর্তীতে অ্যাসরোটেক্স লিমিটেডের শ্রমিকরা দুপুর ১২টার দিকে কারখানার প্রধান গেটে ইট পাইকেল ছুড়তে থাকে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হলে এস এম নিট ওয়্যার ও অ্যাসরোটেক্স লিমিটেডের শ্রমিকরা অ্যাপারেলস্-২১ লিমিটেড ও গ্রিন ফাইবার কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার গেটে গেলে কারখানা কর্তৃপক্ষ ওই দু’টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে। পরে বেলা ১টার দিকে শ্রমিকরা যার যার অবস্থান থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর শিল্পপুলিশের এসপি সারোয়ার আলম বলেন, সকাল থেকে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা নানা দাবি নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সাথে আলোচনার পর দুপুরের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।


আরো সংবাদ



premium cement