তিস্তা অঞ্চলকে অশান্ত করার পাঁয়তারা
পাওয়ার প্লান্টে ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন- মো: গোলাম আযম সরকার পীরগাছা (রংপুর)
- ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
রংপুরের পীরগাছার শেষ প্রান্তে এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অবস্থিত পাওয়ার প্লান্টে গতকাল শনিবার দুপুরে মুক্তিকামী জনতার ব্যানারে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, তিস্তার বুকে নির্মিত তিস্তা বিদ্যুৎ প্রকল্পের আড়ালে ভারতীয় গুপ্তচর ব্যবহার করে এই অঞ্চলকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। দেশের উত্তর জনপদকে রক্ষা করতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন আজ সময়ের দাবি। তারা পাওয়ার প্লান্টে ৭ দফার দাবিও পেশ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ শুভ, ছাওলা ইউপির চেয়ারম্যান নজির হোসেন, তাম্বুলপুর ইউপির চেয়ারম্যান বজরুল রশিদ মুকুল, শরিফুজ্জামান ডালেস, মশিউর রহমান, শামছুল মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থী সোহান বলেন, তিস্তার গতিপথ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন, কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রাণোচ্ছ্বল নদীটির গতিপথকে ব্যাহত করে পরিবেশ ও স্থানীয় জনগণের স্বার্থপরিপন্থী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়েছে পতিত স্বৈরাচারের আমলে। তিনি বলেন, কুখ্যাত ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান গং বিগত বছরগুলোতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তিস্তাপাড়ের মানুষদের নিজ ভূমি থেকে উৎখাত করে আসছিল। বেক্সিমকো সোলার পাওয়ারের নির্মিত তিস্তা পাওয়ার প্লান্টের সব দুর্নীতি উন্মোচন ও বিদ্যুতের সঠিক হিসাব নিরূপণে তিস্তাপাড়ের সন্তানদের দায় মোচনের সময় এসেছে। এ প্রকল্পের আড়ালে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভারতীয় কর্মীর উপস্থিতি এবং দেশীয় শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রতি বৈষম্য নিরসনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তিনি করেন। এ সময় তিনি ৭ দফা দাবি পেশ করেন। এগুলো হলো- ক্ষুধা, মঙ্গা ও বন্যা প্রতিরোধে পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তি ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানির নির্মিত পাওয়ার প্লান্টে প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিরূপণে অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রীয় তদারকি কায়েম করা হোক। প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণকালে দখলকৃত এবং অবমূল্যায়িত নদীবিধৌত জমির মালিকদের ন্যায্য অধিকার দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। জমি দখলকল্পে যে খুনের ঘটনা ঘটেছে তাতে জড়িত সবার কঠোর শাস্তি নিশ্চিত হোক। কোম্পানির উৎপাদিত বিদ্যুতের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও স্থানীয় বিদ্যুতের চাহিদাপূরণ পরবর্তী সুষ্ঠু বণ্টনের ব্যবস্থা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের সরাসরি হস্তক্ষেপ কায়েম হোক। বৈদেশিক বিনিয়োগের মাধ্যমে তিস্তা অববাহিকায় নদীবান্ধব শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত কর্মীদের কর্মসংস্থান। লুটেরাদের অবৈধ সম্পদের উৎস নিরূপণে রাষ্ট্রীয় জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা।
সিভমেক ইঞ্জিনির্য়াস লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: আজিজুল হক এ বিষয়ে বলেন, এই প্রকল্পটা যখন টেন্ডার করা হয় সেটার মূলত আন্তর্জাতিক টেন্ডার করা হয়। ইন্ডিয়ান কোম্পানী রেইস পাওয়ার ইনফাকচার প্রাইভেট লিমিটেডে কাজের জন্য তাদের ইন্ডিয়ান ইঞ্জিনিয়ার কর্মরত ছিলেন। প্রথম দিকে ২০ থেকে ২২ জন থাকলেও শেষের দিকে এসে ১০ জন পর্যন্ত ছিলেন। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর তারা সবাই ভারতে চলে গেছে ছুটি নিয়ে। সেখান থেকে মোবাইলের মাধ্যমে কাজ পরিচালনা করছেন। ইন্ডিয়ান কোম্পানী হলেও মূলত আমাদের দেশীয় বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে তারা কাজগুলো করিয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা