১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

যশোর জেনারেল হাসপাতালে তুঘলকি কারবার

-

যশোর আড়াই শ’ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যেন তুঘলকি কারবার চলছে। কর্মচারীরা মানছেন না কর্মকর্তাদের নির্দেশ। আবার কর্মচারীরা অর্থ আত্মসাতের পর ধরা পড়ে মাফ চেয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকেই এটিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দুর্বলতা বলে উল্লেখ করছেন। সর্বশেষ, বিদেশ গমনেচ্ছুক ৩৮ জনের ফিটনেস পরীক্ষা করে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেন হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের ইনচার্জ পারভেজ মোশাররফ। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর টাকা ফেরত দিয়ে তত্ত্বাবধায়কের কাছে ক্ষমা চেয়ে পার পেয়েছেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, ‘সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে ক্ষমা চেয়ে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ আছে কি?’
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ঈদুল আজহার দু’দিন আগে থেকে প্যাথলজি বিভাগের রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তত্ত্বাবধায়ক হারুন-অর-রশিদ। ঈদের ছুটির পর তিন দিন বন্ধ ছিল প্যাথলজি। এরই মধ্যে প্যাথলজি ইনচার্জ পারভেজ মোশাররফ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ক্যাশ কাউন্টারের রশিদ বাদে বিদেশ গমনেচ্ছুক ৩৮ জনের কাছ ইচ্ছেমতো টাকা নিয়ে ফিটনেস পরীক্ষা করেন।
সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে আর্থিক স্বচ্ছতা আনতে ২০১৮ সালে ক্যাশ কাউন্টার চালু করা হয়। কিন্তু প্যাথলজি ইনচার্জ মোশাররফের নির্দেশে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নগদ টাকা ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে। এতে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে।

 


আরো সংবাদ



premium cement