ঘুষ না পেয়ে যুবকের নামে মাদক মামলা
- রাজশাহী ব্যুরো
- ০৮ জুন ২০২৪, ০২:২১
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মোটর সাইকেল আটক করে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি এবং পরবর্তীতে ঘুষের টাকা না পেয়ে মাদকের (ফেনসিডিল) মামলায় যুবককে ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী যুবক বাঘা আমলী আদালতে দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরের দিকে রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেছেন বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোতকাদিপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে রুহেল ইসলাম রয়েল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রয়েল বলেন, গত ১৪ মে সকাল আনুমানিক ১০টা থেকে ১১টার দিকে বাঘা থানার এসআই নুরুল ইসলাম ও শাহনেওয়াজ সজলসহ আরো একজন আমার বাড়ির গেটের সামনে উপস্থিত হয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার ভয় দেখান এবং আমার ব্যবহৃত এ্যাপাচি-৪ ভি লাল রঙের মোটরসাইকেলটি জোরপূর্বক নিয়ে যান। যাওয়ার সময় তারা বলেন, এক লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে আসবি, অন্যথায় মোটরসাইকেল ফেরত পাবি না। তোদের নামে মামলা দিয়ে জীবন নষ্ট করে দেবো।
তিনি বলেন, আমি পেশায় একজন কৃষক। এই পুলিশ সদস্যরা ঘটনার বেশ কিছুদিন আগে আমাকে বলেন, যেহেতু তোমার বাড়ি বর্ডারে তুমি আমাদের এই এলাকায় কখন কিভাবে অবৈধ মাদকের চোরাচালান হয় তার তথ্য দেবে এবং গ্রেফতারে সহায়তা করলে তোমাকে পুরস্কৃত করব। তাদের কথায় রাজি না হলে তারা আমাকে হয়রানি করা শুরু করেন। এ ব্যাপারে আমি গত ১৫ মে একটি অভিযোগ বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর দিতে গেলে তিনি অভিযোগটি গ্রহণ করেননি। এ সময় পুলিশ সদস্যরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে থানা থেকে বের করে দেন। পরে বিভিন্ন সময়ে পুলিশ সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে মোটর সাইকেলটি ফেরত চাইলে তারা বলেন, এক লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, শেষ পর্যন্ত কোনো প্রতিকার না পেয়ে আমি ওই দুই এস আই ও বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জের নামে গত ২৯ মে বাঘা আমলী আদালতে মামলা দায়ের করি। পরে আদালত বিষয়টি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। মামলার বিষয়টি জানার পর অভিযুক্তরা এখন আমাকে বিভিন্নভাবে মামলা মোকদ্দমার ভয় ও মৃত্যু ভয় দেখাচ্ছেন।
এ বিষয়ে এসআই নুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে হবে। তবে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সংবাদ সম্মেলনকারী রুহেল ইসলাম রয়েল একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। ইতোপূর্বেও তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা