১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পিবিআইয়ের প্রতিবেদনেও আইডিয়ালের মুশতাককে অব্যাহতির সুপারিশ

-

কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তেও রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও অধ্য ফাওজিয়া রাশেদীকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি পিবিআই পুনঃতদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
গতকাল ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে এ প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে এ মামলার বাদি ও কলেজছাত্রীর বাবা সাইফুল ইসলাম নারাজি প্রতিবেদন দেবেন উল্লেখ করে সময় আবেদন করেন। এরপর আদালত আগামী ১৩ জুন শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
গত বছর দুই আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করে প্রথম দফায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়নি এবং কলেজের অধ্য ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগও প্রমাণ হয়নি। মামলা দায়ের তথ্য গত ভুল রয়েছে। তাই আসামিদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
এরপর ওই বছর ১৪ নভেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৮ এ বদলির আদেশ দেন। সেই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেন বাদি। বাদির দেয়া নারাজি আবেদনের শুনানি শেষে গত ১৪ মার্চ মামলা পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে আদেশ দেন আদালত।
২০২৩ সালের ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে কলেজছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়।
এ ছাড়া সহযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির অধ্য ফাওজিয়া রাশেদীকেও আসামি করা হয়। আদালত বাদির জবানবন্দী গ্রহণ করে গুলশান থানার ওসি অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।


আরো সংবাদ



premium cement