নোয়াখালীতে জেলে রিপন হত্যার আসামি গ্রেফতার
- নোয়াখালী অফিস
- ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে জেলে রিপন (৫২) হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মামলার প্রধান আসামিকে আটক করেছে র্যাব-১১। রোববার দুপুরে তাকে নোয়াখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে চর জববার থানার পুলিশ।
নিহত মো: রিপন উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরমাকছুমুল গ্রামের মৃত মো: হাবিব উল্ল্যার ছেলে।
কিছু দিন আগে রিপনের ভগ্নিপতি জামাল উদ্দিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা একটি ফিশিংবোট চুরি করে নিয়ে আসে। পরে রিপন বোটটি স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বোটটি মালিককে ফিরিয়ে দেন। এ সময় কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটায় জামাল উদ্দিন। বিষয়টি রিপন স্থানীয়দের জানালে তারা জামাল উদ্দিনকে পুলিশে সোপর্দ করে। দু’দিন জেল খেটে জামিনে মুক্ত জামাল। এরপর গত ২৮ মে রিপন ও ভগ্নিপতি জামাল পৃথক সময়ে মেঘনা নদীতে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। গত মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে জামালও তার সহযোগীরা রিপনকে হত্যা করে লাশ মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়। পরে ২৯ মে বেলা ২টার দিকে জামাল বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর তার স্ত্রী লুঙ্গিতে রক্ত লেগে থাকতে দেখলে জামাল ভোর বেলায় চট্টগ্রাম যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে ফিরে আসেনি। গত শুক্রবার (৩১ মে) জেলার বেগমগঞ্জের চৌরাস্তা এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব।
র্যাব জানায়, আটক আসামি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে বলেছেন, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্ত্রী এবং তার বড় ভাই রিপনের সাথে তার বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ২৮ মে রাত ১১টার দিকে একটি লোহার রড নিয়ে উপজেলার শিউলী একরাম বাজার থেকে দক্ষিণে বেলাল কোম্পানি মসজিদের পাশে অন্ধকারে ওঁৎ পেতে থাকে। একপর্যায়ে ভিকটিম ঘটনাস্থলে পৌঁছলে জামাল লোহার রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। ভিকটিম রিপন রাস্তায় পড়ে যায় এরপর বাজার থেকে কিছু পথচারীকে ঘটনাস্থলের দিকে আসতে দেখে ভিকটিমকে টেনে রাস্তার পাশে ডোবায় ফেলে দিয়ে জামাল বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে এসে তার পরিহিত জামা কাপড় পরিবর্তন করে রাত দেড়টার দিকে ফের ঘটনাস্থলে পৌঁছে রিপনের মৃত্যু নিশ্চিত দেখে লাশ কাঁধে নিয়ে মেঘনা নদীর কিনারায় ফেলে দেয়। পরে স্ত্রীকে বিশেষ প্রয়োজনে চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো: গোলাম মোর্শেদ বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আরমান হোসেন বাদি হয়ে চরজব্বর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। হত্যা মামলায় ধৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চরজব্বর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।