এনএইচডি প্রজেক্টের নামে অনিয়মে ব্যবস্থা গ্রহণ চেয়ে আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২১ মে ২০২৪, ০০:৩৬
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল হাউজ হোল্ড ডাটা বেইজ (এনএইচডি) প্রজেক্টের নামে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তাদের অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষবাণিজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে করা আবেদন ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবু জাফর শেখ মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আইনজীবী আবু জাফর শেখ মানিক বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তথ্য সংগ্রহের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ন্যাশনাল হাউজ হোল্ড ডাটা বেইজ (এনএইচডি) প্রকল্প (জুলাই ২০১৩-ডিসেম্বর ২০২০) পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে দুদকে দায়ের করা আবেদন আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সাথে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে দুদকের চেয়ারম্যান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পরিসংখ্যান ব্যুারোর সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, এনএইচডি বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো একটি প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পের জন্য ৫৪৫ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ দেয়। নিয়োগকৃত জনবলকে দাফতরিক বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য উপজেলা এবং জেলা পরিসংখ্যান অফিসগুলোতে সংযুক্ত করে। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালের জুন মাসে তাদেরকে Xerox India Company Ltd-এর অধীনে নিয়োগ দেয়া হয়; কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান ১৪টি জেলার তথ্য আংশিক সংশোধন ও ৫০টি জেলার ডাটা অসমাপ্ত রেখে প্রকল্পের ১১২ কোটি ৪৪ লাখ ২৫ হাজার ৬২২ টাকা উত্তোলন করে নেয়। এই প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ছিল ৭২৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ বাবদ ছিল ৬৮৬ কোটি ৮০ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। আর সরকার থেকে ছিল ৪০ কোটি, ৫২ লাখ, ৫২ হাজার টাকা। এই প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া ৫৪৫ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের মাসিক বেতনভাতাদি উপরোক্ত কর্মকর্তারা প্রদান না করে এবং প্রজেক্টের টিপিপির সুপারিশ অনুযায়ী তাদেরকে রেভিনিউ খাতে নিয়োগ না দিয়ে সরকারি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে ভুক্তভোগী ৭৩ জন প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেন। এ ছাড়া অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণ চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনে দুদকের সাড়া না পেয়ে ১৩ মে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ৭৩ জন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আজ এ আদেশ দিয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা