১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

‘গুজবে কান দিয়ে নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘন করা যাবে না’

-

রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ বলেছেন, কোনো রকম গুজবে কান দিয়ে নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘন করা যাবে না। এ জন্য নির্বাচনী প্রার্থীদের সতর্ক থাকতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজশাহীতে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
এর আগে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে এক হাজার ৫৬৩ জনকে ভোটগ্রহণ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ কর্মশালায় দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বীকৃতি প্রামাণিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক, পুঠিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিবুল ইসলাম। দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার জয়নুল আবেদীনের সঞ্চালনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন চৌধুরী, দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলামসহ প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, গুজবে কান দেবেন না। গুজবের সূত্র ধরে অতিউৎসাহী হয়ে আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘন করা যাবে না। এর আগে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের ভোটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভোট দেয়ার পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। আমরা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নই, সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন ও সর্বাত্মক সতর্ক থাকতে হবে। কেউ আইনের লঙ্ঘন ও ভোটের পরিবেশ নষ্ট করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে কাজ করছে। প্রতিটি প্রার্থী আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। কেউ নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রার্থীদের জন্য যেমন আইন রয়েছে, তেমনি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্যও আইন রয়েছে। তাই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সেই আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কল্যাণ চৌধুরী বলেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে দুর্গাপুর উপজেলায় ১৪ ও ১৫ মে দুই দিনব্যাপী ৭৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৪৯৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৯৯২ জন পোলিং অফিসারকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ ছাড়া ৬৭টি ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সেখানে ভোট কক্ষ ধরা হয়েছে ৪৭২টি। দুর্গাপুর উপজেলায় হালনাগাদসহ এবার মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৫৯ হাজার ৯৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮০ হাজার ৫১ জন ও নারী ভোটার ৭৯ হাজার ৮৮১ জন। এ ছাড়া একজন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement