লক্ষ্মীপুরে অগ্নিদুর্গতদের মধ্যে জামায়াতের আর্থিকসহায়তা
- ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
বিপদে ভেঙে না পড়ে মহান আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা রেখে ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে অগ্নিদুর্গতদের পরিস্থিতি সামাল দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ও লক্ষ্মীপুর সদর উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
গতকাল লক্ষ্মীপুরের জকসিন বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের আমির মোস্তফা মোল্লা, সেক্রেটারি রেজাউল ইসলাম খান সুমন, শহর জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মোহাব্বত মেম্বার ও মাস্টার শাহ আলমসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও দোকান-পাট ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে একান্তে কথা বলেন। তিনি তাদেরকে সার্বিক সহায়তার আশ্বাসও প্রদান করেন।
ড. রেজাউল করিম বলেন, বিপদ আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। মূলত, এসব আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা মাত্র। তাই যেকোনো বিপদে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলে চলবে না বরং আপন শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করার সাধ্যমতো চেষ্টা চালাতে হবে। এ ক্ষেত্রে আল্লাহ আপনাদের সহায় হবেন। তিনি দেশে অগ্নিদুর্ঘটনার প্রবণতা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশে অগ্নিদুর্ঘটনার প্রবণতা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রায় ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নাশকতার অভিযোগও জোরালো ভিত্তি পাচ্ছে। তাই দেশে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অগ্নিনির্বাপণে অত্যাধনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি অগ্নিদুর্ঘনায় ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ আর্থিক সহায়তা বিতরণ করেন এবং তাদের জন্য সম্ভব সবকিক্ষু করার আশ্বাসও দেন।
তিনি বলেন, অবক্ষয়, দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা আমাদের সমাজ-রাষ্ট্রে প্রায় প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পেয়েছে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে স্বেচ্ছাচারিতা, জুলুম, নির্যাতন ও সীমালঙ্ঘন।
পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের সব অঙ্গপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচারবিভাগ এর আওতার বাইরে নেই। ফলে মানুষের অধিকার ভূলুণ্ঠিত; মাবনতা আজ আর্তনাদ করছে। রাষ্ট্রের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাভাবিকভাবে কার্য সম্পাদন করতে পারছে না। তাই সমাজের অবক্ষয়রোধ এবং একটি ইতিবাচক পরিবর্তের জন্য সব শ্রেণী ও পেশার মানুষকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
মানুষকে আত্মসচেতন করার ক্ষেত্রে রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় সমাজের সমাজের আত্মসচেতন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা