১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পেসারদের সাফল্যে গর্বিত ধনঞ্জয়া

-

পুরো সিরিজে লঙ্কান পেসারদের সামনে সেভাবে দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। নতুন বলে বা পুরনো হয়ে যাওয়া বলে যেকোনো সময়েই বাংলাদেশের ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করেছেন শ্রীলঙ্কার পেসাররা। দুই টেস্ট মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে সফল বোলার লাহিরু কুমারা। ১২.৬৩ গড়ে তিনি নিয়েছেন ১১ উইকেট। ১৬.১০ গড়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন বিশ্ব ফার্নান্দো। এ ছাড়া শুধু প্রথম টেস্ট খেলে ১৪ গড়ে আট উইকেট নেন কাসুন রাজিথা। দ্বিতীয় টেস্ট ইনজুরির কারণে খেলেননি রাজিথা। তার বদলে চট্টগ্রাম টেস্টে ডাক পান আসিথা ফার্নান্দো। তিনি নেন চার উইকেট। সবমিলিয়ে চার টেস্টে ৩৩ উইকেট নিয়েছেন লঙ্কান পেসাররা। তাদের এমন সাফল্যে গর্বিত ধনঞ্জয়া।
তিনি বলেন, ‘মৃত উইকেটে একজন স্পিনারকে খেলানোর চাইতে আগ্রাসী ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলানোর পক্ষে আমি। আর তাই ফাস্ট বোলারই আমার পছন্দ। এ কারণে আমরা তিন পেসার নিয়ে খেলেছি। আমাদের পেসারদের ভালো করার জন্য উইকেটে ঘাস থাকার প্রয়োজন নেই। তারা এই বিষয়টি প্রমাণও করেছে।’

তিনি যোগ করেন, ‘এখানে উইকেট পাওয়া সহজ নয়। এখানে সূর্যের তাপ অনেক বেশি। এই উইকেট জীবন্ত নয়। তাই আমাদের পরিশ্রম করেই উইকেট নিতে হয়েছে। আমাদের ব্যাটারদের প্রতিভা ছিল, তাই আমরা প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছি। এটা আমাদের বোলারদের কাজে দিয়েছে।’
সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন ধনঞ্জয়া ও কামিন্দু মেন্ডিস। চট্টগ্রাম টেস্টে কেউ সেঞ্চুরি না পেলেও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন শ্রীলঙ্কার বাকি ব্যাটাররাও। দলের ব্যাটাররা সম্মিলিতভাবে রান পাওয়ায় খুশি ধনঞ্জয়া, ‘আমরা যখন বাংলাদেশে এসেছি, তখনই বুঝেছি এখানে ব্যাটাররা রান পাবে। তাদের (ব্যাটার) পরিকল্পনায় ছিল রান করা। তারা হতাশ ছিল, কেননা সিলেটে তারা রান পায়নি। কিন্তু চট্টগ্রামে তারা ফিরে এসেছে।’


আরো সংবাদ



premium cement