ডিআইইউতে ১০ ছাত্রকে বহিষ্কার : বশেমুরপ্রবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতির (ডিআইইউসাস) কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ও সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা। ইউনিভার্সিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (ইউজেএফ) নির্দেশে একযোগে দেশের সব ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার মানববন্ধনের ডাক দেয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে বশেমুরবিপ্রবিতে কর্মরত ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা মানববন্ধনে অংশ নেন।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- বশেমুরবিপ্রবি প্রেস ক্লাব, বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক ফোরাম, বশেমুরবিপ্রবি রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক মানবজমিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রিফাত ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বশেমুরবিপ্রবি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি মেসেঞ্জারের প্রতিনিধি শেখ মো: মেহেদী হাসান সাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি সজিবুর রহমান, দৈনিক ভোরের পাতার প্রতিনিধি সাজ্জাতুজ্জামান সুজন।
শেখ মো: মেহেদী হাসান সাকিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের কাজ অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা, রুখে দাঁড়ানো। ডিআইইউসাস ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পরে তারা বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এবং তাদের দমিয়ে রাখতে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমি বলতে চাই, আমরা বশেমুরবিপ্রবি প্রেস ক্লাব ডিআইইউসাসের পাশে আছি এবং সংগঠনটির ১০ শিক্ষার্থীর বহিষ্কার আদেশ তুলে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে।
সজিবুর রহমান ডিআইইউসাসের ১০ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা জানি ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা ইতিবাচক সংবাদের পাশাপাশি বিভিন্ন নেতিবাচক সংবাদ- দুর্নীতি, অন্যায় তুলে ধরে। কিন্তু এই দুর্নীতি-অন্যায় তুলে ধরার ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা বারবার বাকরুদ্ধ হচ্ছেন। এই অপরাধেই বহিষ্কার করা হয়েছে ডিআইইউসাসের ১০ সাংবাদিককে। ২০২০ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হলেও মার্ক টেম্পারিং, দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিউজ করায় এখন সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পাশাপাশি সাংবাদিকদের বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ডিআইইউ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শামীম হায়দার পাটোয়ারীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ রংপুরের সাংবাদিকরা আপনাকে বর্জন করেছেন কাল সারা দেশের সাংবাদিকরা আপনাকে বর্জন করবেন। তার আগেই এই ১০ শিক্ষার্থীর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করুন।
উল্লেখ্য, মার্ক টেম্পারিং, দুর্নীতি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় গত ১৩ মার্চ (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন ও রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) মো: আবু তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।