মামুনুল হকসহ নেতাদের মুক্তি দাবি হেফাজত আমিরের

হেফাজতে ইসলামের কারামুক্ত শীর্ষ নেতারা গতকাল হেফাজত আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সাথে তার চট্টগ্রামের জামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদরাসায় সাক্ষাৎ করেছেন।
হেফাজত মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা মুহাম্মাদ মীর ইদরীস, মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আযহারী, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মুফতী হারুন ইজহার প্রমুখ।
এ সময় হেফাজত আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী হেফাজত নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বলেন, মুসলমানদের ঈমান-আকিদা হেফাজত ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নাস্তিক-মুরতাদ ও খতমে নবুওয়ত অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে বলেন, মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি মুনীর হুসাইন কাসেমী, মুফতি নূর হুসাইন নূরানীসহ নির্দোষ আলেমরা দীর্ঘ দুই বছর ধরে জেলখানায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। শান্তিপ্রিয় আলেমদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নানামুখী হয়রানি করা হচ্ছে। অবিলম্বে কারাবন্দী ওলামায়ে কেরামকে মুক্তি দিতে হবে এবং হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, গত কয়েক বছর ধরে অসাধু চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে কোরবানিদাতারা চামড়ার ন্যায্য দাম পাননি। বঞ্চিত হয়েছে মূলত অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এবার কোরবানির চামড়ার যথাযথ মূল্য নির্ধারণ করে গরিব-মিসকিনদের ন্যায্য হক তারা যেন সঠিকভাবে পায়, সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সরকারের প্রতি দাবি জানান।
এ সময় হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি সম্প্রসারণের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন হেফাজত আমির আগামী ঈদুল আজহার পর রাজধানী ঢাকায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডাকার জন্য মহাসচিবকে আহ্বান জানান।
শেষে হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা শাহ মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া ও নায়েবে আমির আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ীর ইন্তেকালে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।