২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ শাবান ১৪৪৬
`

পোস্টপারটাম ডিপ্রেশন ব্যাধিতে রূপান্তরিত হতে পারে

-

পোস্টপারটাম ডিপ্রেশন এক সময় ব্যাধিতে রূপান্তরিত হতে পারে, যা বাংলাদেশের মানুষের জন্য একেবারেই নতুন। এটি মানসিক সমস্যা তৈরি করতে পারে তা দেশের মানুষের জানা ছিল না। আর তাই এ বিষয়টি নিয়ে জনসাধারণের সচেতন হওয়ার সময় এসেছে।
সাইকিউর অরগানাইজেশন, মম ফর মম এবং ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি ঢাকার বনানী ক্লাবে হাউ টু ডিল উইথ পোস্টপারটাম ডিপ্রেশন অ্যান্ড ডমেস্টিক ভায়োলেন্স শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
মূলত গর্ভবতী নারী এবং সদ্য মা হয়েছেন যারা, তাদের মা হওয়ার যাত্রাপথে মানসিক যে যুদ্ধটির বা সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হয়, সেটিকে মাথায় রেখেই এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড হাসপাতালের গাইনোকলজিস্ট এবং মম ফর মম এর উপদেষ্টা ডা: নাসিম মাহমুদ, ফ্লাডর চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট ফাউজিয়া করিম ফিরোজ, মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মাহমুদা প্রমুখ।
ডা: নাসিম মাহমুদ বক্তব্যে বরেন, পোস্ট পারটাম ডিপ্রেশন একটা মানসিক সমস্যা যার শুরুটা হয় বেবি ব্লুজ দিয়ে। সঠিক চিকিৎসা, যতœ ও পরিচর্যা না পেলে এটি চরম আকার ধারণ করতে পারে ভুক্তভোগীর জীবনে এবং তার গোটা পরিবার পরিজনের ওপর। তিনি একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, পৃথিবীতে পোস্ট পারটাম ডিপ্রেশনে ভোগা নারীর সংখ্যা গড়ে শতকরা ২৯-৪০ ভাগ এবং আমাদের দেশে সেই সংখ্যা প্রায় ৩৯.১ ভাগ। ডিপ্রেশনের ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে শারীরিক কারণের পাশাপাশি আরো যে বিষয়গুলো দায়ী তা হলো, বাড়তি উপার্জনের মানসিক চাপ, পরিবারের নানারকমের কাজের চাপ, কর্মজীবী নারীদের ক্ষেত্রে বাড়তি যোগ হয় তার কর্মস্থলের মানসিক চাপ ও ক্লান্তি।
ফ্লাডের চেয়ারপারসন অ্যাডফোকেট ফাউজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, পারিবারিক সহিংসতা এবং পোস্ট পারটাম ডিপ্রেশনের সম্পর্ক অনেকটা কজ অ্যান্ড ইফেক্টের মতো। তার মতে, পারিবারিক সহিংসতার যে নানান ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত সমাজে ঘটে যাচ্ছে, তা মোকাবেলা করতে আমাদের প্রচলিত আইনগুলো অপর্যাপ্ত। এ বিষয়ে পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০, এর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা তিনি তুলে ধরেন। তার মতে, ওই আইন অনুযায়ী পারিবারিক মামলাগুলো ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে শুনানি হয়ে থাকে কিন্তু সেখানকার বিচারকদের এই বিষয়গুলোকে নিয়ে কাজ করার জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। ফলে সময়ক্ষেপণ ছাড়া বিচার পাওয়ার বিষয়টা দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারিবারিক সহিংসতার মামলায় দ্রুত বিচার পেতে আইনটি সময়ের সাথে সংশোধনের বিকল্প নেই বলেও তিনি মত দেন। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement