১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ভুল ব্যক্তিকে সাজা দেয়ার অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের অপসারণ চেয়ে রিট

-

ভুল ব্যক্তিকে সাজা দেয়ার অভিযোগে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ, অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল, সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনের অপসারণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বদিউজ্জামান তপাদার এ রিট দায়ের করেন। আগামী রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে রিটকারী আইনজীবী জানিয়েছেন।
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ প্রধান, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ, ডিএমপি কমিশনার, বার কাউন্সিলের সচিবসহ ১০ জনকে রিটে বিবাদি করা হয়েছে।
রিটে বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ, অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন তুহিন ও আসামিপক্ষের আইনজীবীকে তাদের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে আদেশ প্রার্থনা করা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী বদিউজ্জামান তপাদার বলেন, একজন আসামির পরিবর্তে অন্য একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে আসামি সাজিয়ে খিলগাঁও থানার একটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দেন। এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সেই নির্দোষ ব্যক্তিকে ছয় বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক ইমরুল কায়েশ।
আইনজীবী বলেন, আমার মক্কেল রায়ের ধার্য তারিখে হাজির ছিলেন না। পরে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে রায় হয়েছে। রায়ে তার ছয় বছরের সাজা হয়েছে। তিনি এ মামলার আসামি না। এ মামলার প্রকৃত আসামির বাড়ি নারায়ণগঞ্জে, আর আমার মক্কেলের বাড়ি চাঁদপুরে। পরে আমি তাকে আত্মসমর্পণের পরামর্শ দেই। তার আত্মসমর্পণের পর তার মূল কাগজপত্র আমার কাছে আসে। পরে তার পক্ষে আপিল ফাইল করি এবং তাকে জামিন করাই। এই নির্দোষ ব্যক্তিকে সাজা দেয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। দীর্ঘ দিনেও লিগ্যাল নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি।


আরো সংবাদ



premium cement